ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

পরিষ্কার দিনলিপি, অস্বচ্ছ উন্নয়ন ফিরিস্তি

মাহবুব মিঠু, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১১

আমাদের প্রধানমন্ত্রী তার রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকেই কথার কারণে মাঝে মাঝেই বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন। একবারতো আদালত  এজন্য তাকে ভর্ৎসনাও করে।

জনসভায় ‘একটা লাশ পড়লে দশটা লাশ পড়বে’ বক্তব্যটি বেশ ঘৃণা কুড়িয়েছিল। বিপরীতে বিরোধী নেত্রীর অন্তত: বাচনে বেশ ভদ্রতা ছিল আগে। কিন্তু ইদানিং দেখা যাচ্ছে তার কথাও বেশ উদ্ধত এবং  শালীনতার কিছুটা অভাব। তিনি সম্প্রতি শেষ করা রোড মার্চে বিভিন্ন স্থানে যে বক্তৃতাগুলো দিয়েছেন তার অনেকগুলো ছিল ব্যক্তিগত আক্রমণমূলক। এমনকি শেখ হাসিনার ধর্ম-পালন নিয়েও কটুক্তি করেছেন।
 
খালেদা জিয়া কিছু বললে শেখ হাসিনা তার জবাব সরাসরি দেবেন সেটা অবধারিত। বিভিন্ন দেশে দলীয় প্রধানকে উদ্দেশ্য করে ব্যক্তিগত অরাজনৈতিক বক্তব্যের জবাব সাধারণত: দ্বিতীয় সারির কোন নেতা দিয়ে থাকেন। কিন্তু শেখ হাসিনা হয়তো দলের অন্য কারো উপরে নির্ভর করতে পারেন না যুৎসই প্রতুত্তরের জন্য। নিজেই তাই গত বুধবার (অক্টোবর ১২, ২০০১) নীলফামারীতে এক জনসভায় খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে কটাক্ষ করে বলেছেন, সরকারের উন্নয়ন দেখে নাকি খালেদা জিয়া পাগল হয়ে গিয়েছেন।

এটা কোনও ভাল মন্তব্য হতে পারে কিনা আমার জানা নেই। ওই জনসভায় তিনি বিগত বিএনপি সরকারের দুর্নীতি এবং অনিয়মের কথা তুলে ধরেছেন যেটা বেশ ভাল। ক্ষমতা হারালে তাদের কথাও একদিন জনগণ জানতে পারবে এবং এটাই গণতন্ত্র। বিরোধী নেত্রীর সমালোচনার জবাবে তিনি বলেছেন,  ‘ফজরের নামাজ পড়ে কোরআন তেলওয়াত করে আমি প্রতিদিনের কাজ শুরু করি। কিন্তু তার সকাল হয় দুপুর ১২টায়। ’ একদম সময় ধরে দুপুর ১২টা বলাতে মনে হতেই পারে ওনাদের দুজনের মধ্যে অনেক সখ্য। নিবিড় বন্ধুত্ব ছাড়া ঘুমানোর মতো একটা ব্যক্তিগত বিষয় কারো জানা সম্ভব নয়, আর জানলেও প্রকাশ্য জনসভায় লাখ লাখ লোকের মাঝে কথাটা ওভাবে বলাটা শোভন নয়। তিনি হয়তো গোয়েন্দাদের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার খাদ্যাভ্যাস থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত অনেক কিছুই জানতে পারেন। তার মনে রাখা উচিত, ক্ষমতা শেষ হলে সেই একই গোয়েন্দারা তারও অনেক হাঁড়ির খবর বিরোধী পক্ষকে জানিয়ে দেবে। একান্ত ব্যক্তিগত বিষয় যেগুলো জনগণের উপর কোন প্রভাব ফেলে না সে ধরনের কথা না বলাই ভাল নয় কি!

এ ধরনের ব্যক্তিগত নিন্দামূলক কথার সামাজিক প্রভাব খুবই খারাপ। দেশের মানুষ এখনো নেতাদের অনুসরণ করে ব্যক্তিগত জীবনে সেখানে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এ ধরনের কথা শুনলে আমাদের সামাজিক সংস্কৃতির কি হাল হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়। নেতা নেত্রীরা যতোটুকু না উন্নয়ন বিষয়ে বাহাস করেন তার চেয়ে হাজার গুণ বেশী করেন ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে।

প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যে তার দিনলিপি পরিষ্কার করে বলে নিজেকে বেশ সাচ্চা মুসলমান হিসেবে প্রমাণ করেছেন। কিন্তু যে কারণে বিরোধী নেত্রী পাগল হয়ে গেল সেই উন্নয়ন ফিরিস্তিটা ছিল বেশ অস্বচ্ছ। প্রতিটা সরকার তার আমলে উন্নয়নের যে জয়গান গায় তাতে দেশের মানুষ ভেসে যাবার কথা। আদতে ভাসাতো দূরের কথা, পায়ের তলায়ও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে না। নেতানেত্রীদের কথা শুনে দুটো বিষয়ে সন্দেহ হয়; প্রথমতঃ তাদের উন্নয়ন ধারণা নিয়ে এবং দ্বিতীয়ত, জনগণের উন্নয়নে সেই ‘জনগণ’ বলতে তারা কাদের বুঝিয়ে থাকেন  সে বিষয়ে।

পশ্চিমা বিশ্ব দেখবেন কথায় কথায় ‘বিশ্ববাসীর’ স্বার্থে এটা ওটা করতে হবে বলে থাকে। তাদের সংজ্ঞায়িত বিশ্বের মধ্যে কিন্তু আমি আপনি কেউ নেই। আছে শুধু পাশ্চাত্যের লোকেরা এবং মূলত; আমেরিকানরা। ওনাদের জনগণ কি সেই বিশ্ববাসীর মতো নিজ দলের অনুগত নেতা কর্মীরা, যারা পাবলিক টয়লেট থেকে খানাখন্দ দখল করে টেন্ডারের বাক্সটাও হাতের মুঠোয় রেখেছে? জনগণের ব্যাখ্যা সেটা হলে ঠিক আছে। উন্নয়নের ধাক্কায় সত্যি সত্যিই তাদের শরীর থেকে তেল বেরুচ্ছে।

এবার আসি উন্নয়ন বলতে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যে কি বলেছেন। খালি দু একটা বন্ধ হয়ে যাওয়া অলাভজনক কল কারখানা খুলে দলীয় লোকদের সেখানে চাকরির ব্যবস্থা করাটা প্রধানমন্ত্রীর মতে উন্নয়ন। উন্নয়ন বলতে আমরা বুঝি মানুষের জীবন যাত্রায় একটা  ইতিবাচক পরিবর্তন আসা। সেই পরিবর্তনটা হতে হবে তার অর্থনীতিতে, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায়, সম অধিকার নিশ্চিত করনে, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায়, সামাজিক নিরাপত্তায় এবং অতি অবশ্যই ব্যক্তি স্বাধীনতায়। উন্নয়নের এই মাপকাঠিতে দেশকে বিচার করলে যে কেউ শিউরে উঠতে বাধ্য। বলতে গেলে প্রতিদিন যেখানে নিরীহ নিরপরাধ মানুষ সমাজের শক্তিশালী অংশ দ্বারা নানাভাবে নির্যাতিত হচ্ছে সেখানে উন্নয়নের কথা নিরবে নিভৃতে কাদে।

আশা করি, পরবর্তী কোন জনসভায় দয়া করে প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসের গডফাদার শামীম ওসমান এবং মৃত্যুদ- মওকুফ পাওয়া লক্ষীপুরের অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলামের খুনীদের পাশে বসিয়ে সত্যিকারের উন্নয়নের তেলেসমাতি জনগণকে দেখাবেন! জনগণকে প্রতিদিন মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে না পারলেও সন্ত্রাসীরা যে নিশ্চিত ফাঁসির হাতে থেকে জীবন ফিরে পাচ্ছে সেটাই কম কিসের। ওরা তো জনগণেরই একটা অংশ। আলোচিত বক্তব্যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী যে একজন সাচ্চা মুসলমান সেটা লাখ লাখ মানুষের সামনে প্রমাণ করেছেন। এবার অনুরোধ, আপনার করা উন্নয়নটাও যে পাক্কা সেটাও প্রমাণ করুন।

প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন বিষয়ক আলোচনায় নারায়ণগঞ্জ পৌর নির্বাচন বিষয়ক ঘটনায় দৃষ্টি দেয়া যাক। রাজনীতিবিদদের কাছে একজন ভালো মানুষের অবস্থান এবং একজন সন্ত্রাসীর আবস্থান কোথায় সেটা এই নির্বাচনের দিকে তাকালে বুঝা যায়। শামীম ওসমানের বিপরীতে ডা: আইভীকে নমিনেশন না দিতে পারায় প্রমাণ হয় আমাদের রাজনীতিতে সন্ত্রাস এবং সন্ত্রাসীরা কতোটুকু গেড়ে বসেছে। একজন সন্ত্রাসীর যাদুমন্ত্রজাল এতোই শক্তিশালী যে, দলের নির্দেশের বাইরে গিয়ে তিন তিনজন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম ওসমানকে নারায়ণগঞ্জ গিয়ে দলের নাম ব্যবহার করে সমর্থন দিয়ে এসেছেন।

অন্যদিকে, দলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হানিফ সাহেব বিষয়টির নিন্দাও করেননি এবং সেই তিন জনের কাজকে সমর্থনও করেননি। এই লুকোচুরি খেলা রাজনীতির কুৎসিত চেহারা তুলে ধরার পাশাপাশি আমাদের রাজনীতিবিদদের হিপোক্রেসিকে প্রমাণ করে। এখানে একটা বিষয় বেশ সন্দেহজনক। যেখানে বড় দুই দলের মালিক (যেহেতু দুই পারিবারের বাইরে অন্য কারো শীর্ষ পদে যাবার সুযোগ নেই) দুই নেত্রীর সিদ্ধান্ত ছাড়া কিছুই ঘটে না সেখানে কী করে ওই তিনজন গিয়ে শামীম ওসমানকে সমর্থন জানায়। তাহলে কি শেখ হাসিনার ইঙ্গিত ছিল তাদের কাজের পিছনে? ভালো ইমেজের আইভীকে রেখে শামীম ওসমানের মতো চিহ্নিত সন্ত্রাসীকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়ে তিনি কি দেশবাসী এবং মিডিয়ার কাছে সমালোচিত হতে চাননি? এটা যদি হয় তাহলে বলবো, যে কাজ প্রকাশ্যে করা যায় না সেটা কেন করতে হবে? যাকে নিয়ে বিতর্কের ভয় তাকে গোপনে বা ইঙ্গিতে সমর্থন জানিয়ে কি ভোটে জেতা যাবে? কিংবা তিন জন সাংগঠনিক সম্পাদক কি দলীয় নির্দেশের বাইরে সেখানে গিয়েছিলেন? তাই যদি হয় এর মানে দাঁড়াবে আওয়ামী লীগের চেইন অব কমান্ড হয় ভেঙ্গে পড়েছে না হয় দলের ভিতরে শীর্ষ নেতাদের চেয়েও শামীম ওসমানের ক্ষমতা অনেক অনেক বেশী। সন্ত্রাসীরা দলের ভিতরে আধিপত্য বিস্তার করলে এর চেয়ে আতংকের বিষয় আর কি হতে পারে!

কৌতুক: একই মঞ্চে শেখ হাসিনার সংগে বসে এরশাদ বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ভালো নয়। কারণ শাহাবুদ্দীন সাহেব তাকে জেলে পুরে রেখেছিলেন। কিন্তু নব্বইয়ের গণ অভ্যুত্থানের পর সকল দলের সাথে শেখ হাসিনাও এরশাদকে আটকের জন্য শাহাবুদ্দীন সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। এরশাদের বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ না করে শেখ হাসিনা মূলতঃ তার তখনকার অবস্থান যে ভুল ছিল সেটাই প্রমাণ করলেন।

এবং কিছু রসিকতা
আমাদের গ্রামে এক বোকা ছেলেকে গ্রামের সবাই যাওয়া আসার সময়ে পেটে খোঁচা মেরে রসিকতা করে বলতো, কিরে গদাই খেয়ে খেয়ে দিনকে দিন ভুরি বেড়ে যাচ্ছে তো! আসলে গদাই দিনে দিনে না খেতে পেয়ে শুকিয়ে যাচ্ছিল। গদাইয়ের মোটা হওয়া কিংবা তাকে বোকা বলা দুটোর কোনটাই সত্যি ছিল না। গরীবের ভদ্র, সহজ সরল ছেলে হলে যা হয়। সবাই একটু মজা করে আনন্দ পায়।

আমাদের সহজ সরল জনগণকে গদাইয়ের মতো বোকা ভেবে চতুর রাজনীতিবিদরা তাই একটু মশকরা করতে ছাড়ে না। পেটে খোঁচা না মারলেও গরীব জনগণের খাদ্যাভ্যাস নিয়েও তাই কোনও কোনও মন্ত্রী মশকরা করে শান্তি পায়। প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘে শান্তির মিশন এবং তার উন্নয়ন বিষয়ক ফতোয়ার সাথে নীচের বাক্যগুলোর শেষ অংশের বাস্তব চিত্র মেলালে তার কথাকে রসিকতা বলে মনে হতে পারে:

আমরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কিন্তু শামীম ওসমান আমাদের প্রার্থী।
আমরা উন্নয়ন করছি কিন্তু দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতি এবং মানুষের জানমালের কোন নিরাপত্তা নেই।
দেশে শান্তি বিরাজ করছে কিন্তু মানুষ দিনে দুপুরে খুন হচ্ছে প্রতিদিন।
সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে কিন্তু রাষ্ট্রপতি বারবার নিজ দলের খুনীদের সাজা মওকুফ করে দিচ্ছেন। সেই সাথে টাকা না থাকলে আদালতে ন্যায়বিচার পাওয়া যায় না।
যুদ্ধপরাধীদের বিচার করবোই, কিন্তু মনের কথা হচ্ছে, নিজের দলীয় লোক এবং আত্নীয়দের বাদ দিয়ে।
আমার মন্ত্রীরা দুর্নীতিতে নয় কাজে স্মার্ট কিন্তু পদ্মাসেতুর সাহায্য আটকে গেল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর দূর্নীতির কারণে।
দেশের প্রচলিত আইনের বাইরে র‌্যাব কিছু করছে না (আমেরিকা সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্য)। অথচ এবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর শুধু র‌্যাবের হাতে আইন বহির্ভূতভাবে ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ২০০ লোক নিহত হয়েছে যাদের মধ্যে অনেকেই নিরপরাধ। আহত হয়েছে লিমনের মতো অসংখ্য মানুষ।

রসিকতায় বিরোধী দলও পিছিয়ে নেই। আমার দল ক্ষমতায় এলে সব সমস্যার সমাধান করে দেব। অথচ তার দল এর আগে তিনবার (একক নির্বাচনের মাধ্যমে স্বল্প সময়ের ক্ষমতাকে হিসেব করলে চারবার)ক্ষমতায় ছিল। হতে পারে এবার উনারা আলাদীনের প্রদীপ  হাতে পেয়েছেন।

আমরা যুদ্ধপরাধীদের বিচার চাই কিন্তু নিজামীদের মুক্তি দিতে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর বাবু বলেছেন, সংবিধান সংশোধনীতে আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসের কথা তুলে দেবার পর প্রধানমন্ত্রীর নামাজ পড়ার কথা গ্রহণযোগ্য নয়।

পাঠক, হয়তো উপরের কঠিন বাস্তবতা দেখে মনে মনে কষ্ট পাচ্ছেন। কিন্তু না, এটা জনগণের সাথে আমাদের মহান রাজনীতিবিদদের করা রসিকতা। তাদের প্রতি যেহেতু আমাদের অন্ধ আনুগত্য রয়েছে,  তাই তাদের করা রসিকতা ভাল না লাগলেও হাসতে হবে। হাসুন, প্লিজ। হা হা হা হা...।

পুনশ্চ: আসলে সরকারের কথাই হয়তো ঠিক। সব কিছুই ভালভাবেই চলছে। আমাদের হয়তো ভাল চোখ এবং ভালো মন নেই সেগুলো দেখার এবং উপলব্ধি করার।

[email protected]
বাংলাদেশ সময় ১২৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।