অনুজ আদর নকীবুল হোসেনের বড়ো শখ লেখালেখি করবে। মঙ্গলবার পাঠিয়েছিলোও বাংলানিউজে।
জামায়াতী প্রপাগান্ডার কিছুই দেখেনি, কিছুই শোনেনি অল্প বয়সী আদর। জামায়াতী মুখে যতো ভিন্ন কথা বার্তা বলুক, তাদের তৎপরতার অনেক ফ্রন্ট। নারী নেতৃত্ব হারাম ফতোয়া দিয়ে নারীর আঁচলে রাজনৈতিক আড়াল খোঁজে। ইসলামের কোথাও গণতন্ত্রের অবকাশ নেই জেনেও ‘গণতান্ত্রিক আন্দোলনে’ ক্ষমতার পথের অন্বেষণে নামে। নিজেরা নিষিদ্ধ হতে পারে আশঙ্কায় হিজবুত তাহরীর নামের শিক্ষিত সন্ত্রাসী দোকানের লিজ নেয়। বাংলা ভাইয়ের মতো দানব সৃষ্টিতে আগুয়ান হয়। পীর-আউলিয়া নামধারীদের ব্যবসায়িক কর্মকান্ডের চুপিচুপি পৃষ্ঠপোষক জামায়াত ধর্মের ভীতি জাগিয়ে নিজেদের যেকোনো রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে দ্বিধান্নিত হয়না। কোরান সুন্নাহ’র শাসন কায়েমের নেকির লক্ষ্যে দলীয় ক্যাডারদের ‘ইহুদি-নাসারার’ দেশে পাঠিয়ে ব্যারিস্টর বানায়।
প্রকৃত ইসলামী শিক্ষার কোনো প্রতিষ্ঠান না গড়লেও কওমী-খারিজী-দাখিল মাদ্রাসার ধর্মপ্রাণ ও ধর্মান্দ্ধদের উস্কানীতে মিলিট্যান্টে রূপান্তরিত করে। নরহত্যা এবং মানুষ নির্যাতন যুগপৎ ধর্মীয় ও মানবতাবাদে নিষিদ্ধ হলেও রগকাটা আর মানুষ মারায় জামায়াতীদের জুড়ি নেই। চাটগাঁ বিশ্ববিদ্যালয় কে মৃত্যুপুরী বানিয়ে রেখেছিলো বেশ কয়েক বছর।
জামায়াতের হালের প্রপাগান্ডা বেশ প্ল্যানড। প্রথমে মীমাংসিত বিষয়াদি নিয়ে বিতর্ক তোলে। জামায়াতের নেতারা ধর্ষণসহ অন্যান্য কোনো অপরাধে জড়িত নেই! তাহলে কেবল একাত্তরে কেনো এবং কিভাবে ধর্ষনে জড়িয়েছিলো? আপাত দৃষ্টিতে নায্য প্রশ্ন। কোনো মানুযের নেশা থাকে টাকা, ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি। কারো নারী ও সুরা। কিন্তু জবাবদিহিতার ব্যাপারটা না থাকলে, বিচারের মুখোমূখি দাঁড়াবার আশঙ্কা না থাকলে ধর্ষন, খুন ও লুটপাটের বাড়তি রোজগারকে ছাড়ে? জামায়াতী নেতারা এই অকাজটি করেছে। একাত্তরের পর এই অপরাধ কাঁধে নিয়ে কাটানো দুঃস্বপ্নের কয়েক বছর এখনো তাদের নিদ্রা চাংগে তোলার মতো দুঃস্বপ্নময়। ভুলেও ঐ পথে পা বাড়ায় না জামায়াত।
মাদ্রাসা-মক্তবে নিগৃহীত সাবেক তালেবে এলেমরা পরবর্তীতেই নিজেরাই নোংরা যৌনাচারন শুরু করে। নেতাদের গেলমান প্রীতি ও অনায়াস প্রাপ্তির কারণে জামায়াতীরা পরবর্তীতে নারী ধর্ষনে ঝুঁকেনি। বিত্ত ও গেলমানেই সন্তষ্ট থেকেছে। একাত্তরের বিভীষিকাময় সময়ে জামায়াত নেতাদের সমকামিতার বিবরণ লিপিবদ্ধ করা হয়নি। তদন্ত কমিটিকে অনুরোধ করবো বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে।
জামায়াতীরা মানুষের ধর্মীয় ভীতিকে উস্কে দেয়। কিছুদিন আগে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত মন্ত্রী নানকের তরুন পুত্রের মর্মান্িতক মৃত্যুকেও জামায়াতীরা প্রপাগান্ডা বানাতে দ্বিধা করেনি। ইসলামে একজন মুসলমানের মৃত্যুতে অন্য মুসলমানের ইন্নালিল্লাহে পড়াকে দায়িত্ব গণ্য করা হয়। কিন্তু জামায়াতীরা বিরোধীদের পারিবারিক দুরাবস্হাকেও ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় বাজারে ছাড়ে। ক’দিন আগে আমাদের অনেকের কমন ফ্রেন্ড মেধাবী ডঃ জালালের মৃত্যুকে নিয়েও বিভিন্ন ব্লগে অশালীন মন্তব্য ছেড়েছে। জালালের অপরাধ উনি আওয়ামী নেতা মখা আলমগীরের সন্তান। এই দুই আওয়ামী নেতা যুদ্ধাপরাধী সাঈদী-নিজামী-গো আযম দের বিরুদ্ধে ’’ঔদ্ধত্য’’ কথাবার্তা বলেছিলেন বিধায় ’’আল্লাহর খাস গজবে পড়েছেন’। আমাদের মান্যবর প্রধানমন্ত্রী কানের চিকিৎসা নিয়েও জামায়াতীরা ব্যংগ বিদ্রুপ করে। ’রসুলের সমকক্ষ!?’’ নিজামীদের বিরুদ্ধে শলা- পরামর্শ শোনার ‘অপরাধে’ উনার কানের ওপর গায়েবী ‘গজব’ নেমে এসেছে!
কুকুর কামড়াতে এলে আমরা কি কুকুরকে আইন শুনাই? না, লাঠি হাতে কুকুর তাড়ানোটাই বুদ্ধিমানের কাজ। নোংরা যৌনাচারী জামায়াতী ব্যাটাদের ঝুলিয়ে দিলে কি হয় ? এতো আন্তর্জাতিক মানের বিচারের উপযুক্ত কি জামায়াতী নরাধমেরা? দেখি গজব কোথা থেকে নামে।
পাদটীকাঃ মাস ছয়েক আগে আমার স্ট্রোক হয়েছিলো। শরীরের ইঞ্জিন খুব ভালো না। বারবার সার্ভিসে যেতে হচ্ছে। এখন হঠাৎ কিছু হলে জামায়াতীরা নিঃসন্দেহে দাবি করবে, এটা আল্লাহ খাস গজবের নতিজা।
ইমেলঃ [email protected]
বাংলাদেশ সময় ১৫৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১১