ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মুক্তমত

‘রোহিঙ্গা হোস্টিংয়ে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ বিবেচনার দাবিদার’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৯
‘রোহিঙ্গা হোস্টিংয়ে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ বিবেচনার দাবিদার’ বাংলাদেশে নিযুক্ত কসোভোর প্রথম রাষ্ট্রদূত গুনের উরেয়া, ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের কূটনৈতিক বন্ধু হয়ে উঠেছে নতুন একটি দেশ, নাম কসোভো প্রজাতন্ত্র। বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে কসোভোকে স্বীকৃতি দেওয়ার পর প্রাকৃতিক সম্পদ-সৌন্দর্যে ভরপুর নির্মল বলকান দেশটি বাংলাদেশে তাদের প্রথম কূটনৈতিক মিশন খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত কসোভোর প্রথম রাষ্ট্রদূত গুনের উরেয়া দ্য ডেইলি অবজার্ভারকে দ্বিপাক্ষিক, অর্থনৈতিক, ভূ-রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন বিষয়ে একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। এটি পরিচালনা করেছিলেন দ্য ডেইলি অবজার্ভারের সহকারী সম্পাদক শাহরিয়ার ফিরোজ।

সাক্ষাৎকারটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক গবেষক আল আমীন ইমন।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ ও কসোভো প্রজাতন্ত্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মোটামুটি নতুন। বাংলাদেশ ২০১৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রজাতন্ত্র কসোভোকে স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আপনার মতে গত দু’বছরে কী কী অগ্রগতি হয়েছে?

রাষ্ট্রদূত: কসোভো ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতার প্রায় ১২ বছর পার হলেও ইতিহাসে যেকোনো দেশের জন্য এটা আসলে খুবই কম সময় হিসেবে ধরা যায়। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কও নতুন শুরু হয়েছে।

আসলে, বাংলাদেশে দূতাবাস খোলা একটি দৃঢ় ইঙ্গিত যে, স্বল্প সময়ের মধ্যে আমরা নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলেছি। এখন বাস্তবেই ঢাকাতে আমাদের কূটনৈতিক মিশন রয়েছে। এটি বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে। বিশেষ করে গত বছর থেকে দুই দেশের ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান যোগাযোগ এটা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, আমাদের সম্পর্ক দ্রুত উন্নত হচ্ছে। দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে প্রতিফলিত হতে শুরু করেছে। উভয় দেশেরই ব্যবসায়ীরা পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে খুবই উন্মুক্ত। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আমরা এই উদ্যোগগুলোর ফলাফল দেখতে পারবো।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ-কসোভো দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যেতে কোন কোন ক্ষেত্র সবচেয়ে সম্ভাবনাময়?

রাষ্ট্রদূত: প্রথমত, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতার এক বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে। গত কয়েক বছরে কসোভোর অর্থনীতি গড়ে প্রায় চার শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে প্রায় সাত শতাংশের অসাধারণ

কৃতিত্ব অর্জন করেছে। আসলে, বাংলাদেশ খুবই দ্রুত ও সস্তা উত্পাদন করতে পারে এবং অনেক ক্ষেত্রে এর দুর্দান্ত সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, কসোভোর রয়েছে সবচেয়ে তরুণ জনসংখ্যা ও এটি ইউরোপের অন্যতম একটি গতিশীল দেশ। উভয়পক্ষের ব্যবসায় মিথস্ক্রিয়া সহজ করতে আমাদের মাধ্যম হিসেবে কাজ করা দরকার।

আমরা যদি পারস্পরিকভাবে এটি অর্জন করতে পারি তবে অসাধারণ ফলাফল পাওয়া সম্ভব। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে, বিশেষত বৈশ্বিক নিরাপত্তা, শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে আমাদের সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে। একে অন্যকে আরও ঘনিষ্ঠভাবে জানতে পারাটাও আমাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার সুযোগ অর্জনে সহায়তা করবে।

প্রশ্ন: কসোভো অর্থনীতি একটি রূপান্তর অর্থনীতি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, আপনি কি উদাহরণসহ বিষয়টি ব্যাখ্যা করবেন?

রাষ্ট্রদূত: কসোভো একটি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের মধ্য দিয়ে সাবেক যুগোস্লাভিয়ার কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক ব্যবস্থা থেকে মুক্তবাজার অর্থনীতিতে প্রবেশ করেছিল। স্লোভোডান মিলোসেভিকের অধীনে সার্বিয়া তার বৈষম্যমূলক নীতি দিয়ে কসোভোসহ অন্য সাবেক যুগোস্লাভ রাজ্যগুলোর অনেক ক্ষতি করেছে। এসময়ের ধ্বংসাত্মক নীতিগুলো আমাদের অর্থনীতির গুরুতর ক্ষতি করেছে। নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আমরা এখন পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় রয়েছি।

আমরা মুক্তবাজার অর্থনীতির চাহিদাগুলো পূরণ করছি। কসোভো খাদ্য, আসবাব, আইসিটি, নির্মাণ ও পরিষেবা খাতে খুব দ্রুত উন্নতি করেছে। তাছাড়া, কসোভোর মাইনিং শিল্পেও বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে।

আমাদের সম্পত্তিগুলোর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ যা সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজের অধীনে ছিল সেগুলোকে বেসরকারিকরণ করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রগুলোও পুনরুদ্ধার হয়েছে। টেক্সটাইল ও ওষুধ শিল্পেও আমাদের অতীত ঐতিহ্য রয়েছে। এই সেক্টরের কোম্পানিগুলো প্রতিনিয়ত আরও উন্নতি করছে।

প্রশ্ন: একটি নিম্ন-মধ্যম আয়ের অর্থনীতি হওয়া সত্ত্বেও কসোভো গত এক দশকে ধারাবাহিকভাবে শক্ত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এটি কীভাবে সম্ভব হয়েছে?

রাষ্ট্রদূত: হ্যাঁ, আমাদের অর্থনীতি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের ডায়াস্পোরাদের অর্থনৈতিক অবদান দিয়ে শুরু করা যাক। কসোভিয়ানদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ইউরোপীয় দেশগুলোতে, যার বেশিরভাগই জার্মানি ও সুইজারল্যান্ডে বসবাস করে। বিনিয়োগ ও রেমিটেন্সের মাধ্যমে আমাদের ডায়াসপোরারা অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। তারা কসোভোতে ‘নো হাউ’ (উন্নয়ন অংশীদারিত্ব প্রোগ্রাম) নিয়ে এসেছে। আমি এটিকে একটি দুর্দান্ত সম্ভাবনা হিসেবে দেখছি।

কসোভোতে আমাদের তরুণ ও গতিশীল সমাজ রয়েছে। এসব কিছুর কারণে অবকাঠামোগত প্রকল্পগুলো দেশের অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে সহায়তা করেছে। কসোভোর এখন আধুনিক মহাসড়ক রয়েছে। অবকাঠামো ও জনগণের জন্য বিনিয়োগ ছাড়া কেবল জনশক্তির ওপর নির্ভরশীল একটি অর্থনীতি কখনই টেকসই হতে পারে না। একারণে আমরা গত কয়েক বছরে অবকাঠামো ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। আর কৃষি বিনিয়োগেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। আমরা সম্প্রতি আইসিটি ও পরিষেবা ক্ষেত্রে রপ্তানি শুরু করেছি। সংক্ষেপে, এসব অগ্রগতি আমাদের দেশের উন্নয়নের ধারাকে স্থিতিশীলতার দিকে পরিচালিত করছে।

প্রশ্ন: কসোভোর ঘরোয়া রাজনীতি এবং বৈদেশিক নীতি সম্পর্কে আপনি কী বলবেন?

রাষ্ট্রদূত: কসোভোতে আলবেনীয় জনসংখ্যা সংখ্যাগরিষ্ঠ। তবে, আমাদের দেশ বহু-জাতিগত সমাজের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত। মানবাধিকার সম্মানের ওপর ভিত্তি করে কসোভোর খুবই উদার সংবিধান রয়েছে। দেশের উত্তর অংশে বেলগ্রেড পরিচালিত

সার্বিয়ানদের একটি দল বাদে পুরো জাতিগত সম্প্রদায় সুসংহতভাবে বসবাস করে। আমাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থা আপসের সংস্কৃতি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে। আলবেনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার পাশাপাশি সব সম্প্রদায় সুষ্ঠুভাবে সরকারে প্রতিনিধিত্ব করে।

আমাদের দেশীয় নীতি শান্তিভিত্তিক এবং এর প্রতিচ্ছবি হিসেবে আমাদের একটি শান্তিপূর্ণ বৈদেশিক নীতি রয়েছে, যা সদা সহযোগিতার জন্য উন্মুক্ত। আমরা এমন একটি দেশ, যা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মূল্যবোধকে সম্মান করে ও এর সদস্যপদকে অপরিহার্য লক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করে।

আমাদের বৈদেশিক নীতির মূল লক্ষ্য হচ্ছে, গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হওয়া এবং যতটা সম্ভব দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করা। আমরা এমন একটি দেশ, যা বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত। আমরা গণতন্ত্রকে গাইড করে এমন প্রতিটি দেশের সাথে সুসম্পর্ক বিকাশের লক্ষ্যে রয়েছি।

প্রশ্ন: কসোভোতে ইসলাম সর্বাধিক প্রচলিত ধর্ম। তবুও বিশ্বাসের পুরোপুরি স্বাধীনতাসহ একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে থেকে গেছে কসোভো। কসোভোর সংবিধানে বিবেক ও ধর্মের গ্যারান্টি রয়েছে। এই অবস্থানটিকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?

রাষ্ট্রদূত: বিশ্বাসের স্বাধীনতা থাকা আবশ্যক। আমাদের দেশের বেশিরভাগ জনসংখ্যা মুসলমান। একটি সেক্যুলার রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের এমন একটি ব্যবস্থা রয়েছে যা ধর্মনিরপেক্ষ মূল্যবোধের ভিত্তিতে প্রতিটি নাগরিকের ধর্ম ও স্বাধীনতাকে সুরক্ষা দেয়। উদার আইন কাঠামো দিয়ে ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলোকে সংগঠিত করার ক্ষেত্রেও আমাদের কোনো সমস্যা হয়নি। এমন একটি ব্যবস্থা থাকায় আমরা গর্বিত।

ঐতিহাসিকভাবে কসোভোতে একটি ধর্মসহিষ্ণু পরিবেশে রয়েছে। এটি বিভিন্ন জাতি ও ধর্মের সহাবস্থানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। শত শত বছর ধরে খ্রিষ্টধর্মের বিভিন্ন রূপের সঙ্গে ইসলামের সহাবস্থান রয়েছে এবং আজও আমাদের সংবিধানে এই বৈশিষ্ট্য গ্যারান্টিসহ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। উল্লেখ করা যায়, আমাদের সংবিধান কসোভোতে সার্বিয় অর্থোডক্স চার্চের জন্য বিস্তর অধিকারের গ্যারান্টি দিচ্ছে। কসোভোতে থাকা অর্থোডক্স চার্চগুলো অধিবাসীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়, বিশেষ কোনো ধর্ম এক্ষেত্রে কোনো বিষয়ই নয়।

এই সুযোগটি ব্যবহার করে স্পষ্ট করে বলতে চাই, কসোভোতে ঘটে যাওয়া সবশেষ সংঘাতটির কোনো ধর্মীয় মদদ ছিল না। এটি ধর্মভিত্তিক কোনো দাঙ্গা ছিল না।

প্রশ্ন: দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের বলকান উপদ্বীপের কেন্দ্রে অবস্থিত কসোভোর প্রকৃতি উন্নতমানের পর্যটন সংস্থানের প্রতিনিধিত্ব করে। এই সেক্টরের বিকাশের জন্য কী ভাবছেন?

রাষ্ট্রদূত: কসোভোর বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ এবং পর্যটন সংস্থান রয়েছে। আরও রয়েছে অত্যন্ত সুন্দর পর্বতমালা, যা শীতকালীন পর্যটনের জন্য উপযুক্ত, স্বতন্ত্র স্থাপত্য শিল্প, অনন্য ধর্মীয় ঐতিহ্য আছে। আছে সুস্বাদু খাবার।

কসোভো পর্যটকদের জন্য অত্যন্ত সুরক্ষিত একটি দেশ। পর্যটন ক্ষেত্রে কাঠামোগত সংস্কারের জন্য আমরা কাজ করছি। সামগ্রিক বিনিয়োগ কসোভোর পর্যটন শিল্পের আরও বিকাশে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এছাড়া, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে টুরিজ্যম প্যাকেজের জন্য আমরা ট্যুর অপারেটরদের উত্সাহিত করছি। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সব, কনসার্টসহ অন্য সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া কার্যক্রম বিদেশি পর্যটকদের কাছে কসোভোকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।

প্রশ্ন: রোহিঙ্গা সংকট ও বাংলাদেশ সরকারের দশ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে কসোভো সরকারের অবস্থান কী?

রাষ্ট্রদূত: ১৯৯৯ সালে আমাদের দেশের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ শরণার্থী বা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছিল। যে কারণে শরণার্থী হওয়ার অর্থ কী, শরণার্থীদের প্রতি উদার হওয়ার অর্থ কী তা আমাদের চেয়ে ভালো কেউ জানে না। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের হোস্টিং ও তাদের নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্যতার দাবি রাখে। অভিজ্ঞতা থেকে আমরা জানি যে, শরণার্থীদের বসবাসের জন্য সর্বোত্তম জায়গা হল তাদের জন্মভূমি। আমরা সব রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের জন্য এবং এই বিষয়ে বাংলাদেশের নীতিকে সমর্থন করি।

প্রশ্ন: বাংলাদেশিদের জন্য কসোভোর রাজধানী প্রিস্টিনা যাওয়ার ক্ষেত্রে কি কোনো ফরমাল ট্রাভেল রুট রয়েছে? আপনার সরকার কি বাংলাদেশের নাগরিকদের স্বল্পমেয়াদী ভ্রমণের জন্য এই রুট সহজ করবে?

রাষ্ট্রদূত: দুর্ভাগ্যক্রমে আমাদের রাজধানী শহরগুলোর মধ্যে কোনো সরাসরি ফ্লাইট নেই। আশা করি, সহযোগিতা বাড়ানোর মাধ্যমে একদিন এই রুটটি এয়ারলাইনগুলোর কাছে আকর্ষণীয় হবে। গত কয়েকমাসে অনেক বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও কর্মকর্তা কসোভোতে এসেছেন। আমি নিশ্চিত, ভবিষ্যতে নতুন সংযোগ ও নীতির মাধ্যমে এই রুটে সবার জন্য ভ্রমণ সহজ হবে।

প্রশ্ন: আপনি বাংলাদেশে নিযুক্ত কসোভোর প্রথম রাষ্ট্রদূত। আপনার দায়িত্ব গ্রহণের এক মাসও হয়নি (ইন্টারভিউয়ের সময়)। এই অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশকে কেমন দেখলেন?

রাষ্ট্রদূত: বাংলাদেশে আমার দেশের প্রথম রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করা অনেক বড় সম্মান ও সুযোগ। আজ অবধি যেসব বাংলাদেশির সঙ্গে দেখা করেছি, তাদের আতিথেয়তায় আমি মুগ্ধ। বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশের সামনেও অনেক চ্যালেঞ্জ। তবে, নেতৃত্বের অঙ্গীকার এবং এর জনগণের নিবিড়তার সঙ্গে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ভবিষ্যত নিয়ে আশাবাদী হওয়া উচিত।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৯
একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।