ক] অভিনন্দন ‘বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’কে। আর ধন্যবাদ এর এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেনকে।
প্রথমে বিডিনিউজ২৪.কম, পরে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের মাধ্যমে কিভাবে কোন জাদুমন্ত্রে তিনি পাঠকের হূদয় ছুঁয়ে তাদের চেতনায় নাড়া দিয়েছেন, তা আমার জানা নেই। তাই অনলাইন নিউজ পোর্টালের পায়োনিয়রকে আবারও আন্তরিক অভিনন্দন!
খ] দিনে দিনে দৈনিক পত্রিকার গুরুত্ত্ব কী হ্রাস পাচ্ছে? প্রিন্টেড পত্রিকা তো দিনে বা রাতে একবার ছাপা হয়। আর তা তো সারা বিশ্ববাসী পড়তে পারেন না। সেখানে অনলাইন নিউজ পোর্টাল মুহূর্তে মুহূর্তেই সর্ব শেষ নিউজটি তুলে ধরছে। পাঠক সাথেই সাথেই গরম চায়ের মতোই পেয়ে যাচ্ছে গরম গরম তরতাজা সংবাদ। তাই বাধ্য হয়ে এখন প্রায় সব প্রিন্ট মিডিয়ার দৈনিক ও পাক্ষিকগুলো তাদের অনলাইন ভার্সনও চালু করছে।
আমরা লেখক হিসাবে অনেক বেশি লাভবান হয়েছি। যা লিখছি, তা সাথে সাথেই প্রকাশ করতে পাচ্ছি, শেয়ার করতে পারছি পাঠকদের সাথে। এজন্য আমি বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের কাছে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। প্রথমতঃ অতি দ্রুত যত্ন সহকারে লেখাটি প্রকাশ হচ্ছে। দ্বিতীয়তঃ লিখে ৯৯% স্বাধীনতা পাওয়া যায়। তৃতীয়তঃ বিপুল পাঠকের (গাল-মন্দ-অভিনন্দন) সাড়া মেলে। এ কথাগুলো আরো একটি অন লাইন সাপ্তাহিকের ক্ষেত্রে পুরোটাই প্রজোয্য। সেটি হলো- টরন্টো থেকে প্রকাশিত দ্য বেঙ্গলি টাইমস। যার সম্পাদনা করেন শহিদুল ইসলাম মিন্টু। তা নিয়ে আরেক দিন লিখবো।
গ] এখন ব্যাঙের ছাতা এবং ব্যাঙাচির মতো আজ-বাজে অজস্র অন লাইন পত্রিকা বের করে ‘আলমগীর হোসেন’ হতে চাচ্ছেন! নানা জায়গা থেকে ইচ্ছে মতো ছবি/ নিউজ/ লেখা/ প্রতিবেদন/ কলাম নিয়ে সাংঘাতিক সাংবাদিক সেজে বসে আছেন। তাদের যন্ত্রণায় পাগল হবার অবস্থা! লেখা চায়। লেখা না দিলে বিনা অনুমতিতেই অন্যত্র থেকে লেখা নিয়ে নেয়। কেউ তো রীতি মতো আমার লেখা একটু আধটু ঘুরিয়ে নিজের নামে চালিয়ে দিচ্ছে! আবার কোনো কোনো অন লাইনের ‘মহা সম্পাদক’ সাহেব আমাকে না জানিয়েই কোথাও থেকে ছবি সংগ্রহ করে ‘কানাডা প্রতিনিধি’ বানিয়ে ধন্য করে লিংক পাঠান! এই হচ্ছে- হাতুড়ে ডাক্তারদের সার্জারির মতো তথাকথিত স্বঘোষিত সম্পাদকদের কর্মকান্ড! অনলাইন সাংবাদিকতার সুষ্ঠু চর্চার স্বার্থেই তাদের রুখতে হবে।
[email protected]
বাংলাদেশ সময় ১১৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১১