আমি মূলত একজন নকলবাজ মানুষ। দেখি, লিখি তা কিছু হোক বা না হোক।
আমি জানি, সে আশা গুড়েবালি। ষড়রিপুর খেলা চলে অবিরাম মানব অন্তরে। তাই জেগে দেখা স্বপ্ন আমার স্বপ্নই রয়ে যাবে।
সুপ্রিয় পাঠক, পৃথিবীর ওপরে আমরা যে অবিচার- অত্যাচার করেছি, এ তারই কর্মফল ভোগ করছি। কথায় আছে, ‘পাপী মরে দশ ঘর নিয়ে’। আমরা নিজেদের যতোটাই মহারথী মনে করি না কেন, আসলে তা অহংকার ছাড়া কিছু নয়। অহংকারের পতন নিশ্চিত। প্রতিদিন প্রতিক্ষণ উৎকণ্ঠিত উদ্বিগ্ন মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে এখনো আমরা শোধরাইলাম না। আফসোস... আফসোস! রাজনীতি, ধর্ম নিয়ে মনগড়া মতাদর্শ ফলাচ্ছি নির্লজ্জ হয়ে। মুখে লাগাম টেনে ধরছি না। সৎ ও সততার চিহ্ন নেই।
নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন, শিরোনাম- বরিশাল অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষায় দিয়েছি। উজাইছো মানে, বেড়ে গেছো বা মাত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়ি এমন কিছু হবে বোধহয়! টিকটকে এক মহিলা ভিডিও করে ছেড়েছেন। দেখেছি বলে ওটাকেই জুড়ে এনে লেখাতে দিলাম। বলা হচ্ছে, ঘরে থাকো। ঘরে থাকছি না। সরকারের একার পক্ষে কতটা সম্ভব, আমরা সচেতন না হলে! আবার, দিন এনে দিন খাওয়া মানুষের পক্ষে একনাগাড়ে পেটে ক্ষুধা নিয়ে চলা অসম্ভব। বিত্তবানেরা তেমন এগিয়ে এসেছেন- নজরে পড়ছে না। ব্যতিক্রমী কতিপয় সামাজিক সংগঠন ও যুবকদের বিবেকের জাগ্রত দায়বদ্ধতা দেখে বিস্মিত! আমি তাদের উদারতা সর্বপরি এমতাবস্থায় স্যালুট জানাই। আসছে আগামী দিনটি কিন্তু অন্ধকার। খুব অন্ধকার! যদি করোনা আমাদের অল্পতেই ছেড়ে না দেয়। কী হবে - উপায় কি হবে ? কেউ জানি না। বুঝি, দুনিয়ায় হাশরের ময়দান শুরু হয়ে গেছে।
লেখালেখি মনের সাথে সম্পর্কযুক্ত। মন অতিরিক্ত খারাপ হয়ে গেলে- অচল। কে বাঁচি - কে মরি, অজানা অতল সমুদ্র। কার ডাক কখন আসে, বোঝা মুশকিল! হে স্রষ্টা, তুমি আমাদের ক্ষমা করে, পরিত্রাণ দাও। মানুষের বোধে বোধদয় দাও। আমরা আমাদের প্রতি সাংঘাতিক জুলুম করেছি।
লেখক: গল্পকার ও সাহিত্যিক