শুক্রবার রাতে দৈনিক ভোরের পাতা অনলাইন ভার্সনে ‘লাল-সবুজের পতাকার ডিজাইনার শিবনারায়নকে ড. কাজী এরতেজা হাসানের আর্থিক অনুদান’ শিরোনামে খবরটি প্রকাশ হলে অনেকেই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকেও ফোন করে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।
আমি মনে করি, একাত্তরের সুমহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ পেয়েছিল চির কাঙ্ক্ষিত একটি লাল-সবুজের পতাকা। ৩০ লাখ শহীদ এবং দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতা ও ঐক্যের প্রতীক আমাদের এই জাতীয় পতাকা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, স্বাধীন বাংলাদেশে অনেক মুক্তিযোদ্ধাকেও দেখেছি মানবেতর জীবন-যাপন করতে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময়ই মুক্তিযোদ্ধা থেকে শুরু করে অসহায় মানুষের পাশে সব সময়ই দাঁড়াচ্ছেন। তবে একথাও স্বীকার করতে হবে, অন্য যেকোনো সরকারের চেয়ে মুক্তিযোদ্ধারা এখন ভালো আছে। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতাও কয়েকগুণ বেড়েছে।
বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, ততদিনই আমাদের লাল-সবুজের পাতাকাও থাকবে। এই পতাকার ডিজাইনার যখন অর্থাভাবে অসহায় জীবন যাপন করেন, তখন নিজের মধ্যে অপরাধবোধ কাজ করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে শিবনারায়ন দাসের পাশে দাঁড়িয়েছি। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকেই শিখেছি কীভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হয়। এই করোনা সংকট মোকাবিলায় আমাদের প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। যা দেশসহ বিশ্বব্যাপী প্রশংসনীয়।
শিবনারায়ন দাসের অসুস্থতা এবং আর্থিক অনটনের বিষয়টি প্রথমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেন সাংবাদিক সুপন রায়। এছাড়া তার দায়িত্ব নিয়েছে স্পিক আউট নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এই শিবনারায়ন দাস স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকার ডিজাইনার। এছাড়া তিনি অবিভক্ত কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন।
লেখক: সম্পাদক ও প্রকাশক, ভোরের পাতা
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২০
টিএ