ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বি এস এফ এর পৈশাচিক বর্ববতার প্রতিবাদে যখন গোটা দেশের অনলাইন একটিভিস্ট, ব্লগার ফেসবুকসহ ভার্চুয়াল দুনিয়া সোচ্চার হয়েছে তখন কিছু ছবি ফেসবুকে স্থান করে নিয়েছে। কিছু নির্মম ঘটনার আলোকচিত্র ও গ্রাফিক্স ফেসবুকে ছাড়া হয়েছে।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি লোককে পেরেক ঠুকে গাছে ঝুলিয়ে রেখে দেওয়া হয়েছে। তার পুরুষাঙ্গ কেটে মুখে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এর সাথে বি এস এফ এর সম্পৃক্ততা নেই। প্রকৃত অর্থে এরশাদ সিকদারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বরগুনার বেতাগী উপজেলার দক্ষিন ভোড়া গ্রামের ৭৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ডাকাত সালাম হাওলাদারকে হত্যা করে গাছের সাথে পেরেক ঢুকিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল ২০১০ এর মার্চ মাসের দিকে। বিভিন্ন থানায় ডজন খানেক ডাকাতি, খুন ও ধর্ষণের মামলার আসামি সালামকে তারই সহযোগিরা ডেকে নিয়ে হত্যা করে। এরপর লাশটিকে ইঞ্জিনিয়ার সুলতানা সালেহ টেকনিক্যাল কলেজের সামনের একটি রেইন্ট্রি গাছের সাথে দুই হাতে পেরেক ঢুকিয়ে ঝুলিয়ে রাখে।
কিন্তু এই ঘটনাকে বি এস এফ-এর কর্মকাণ্ড হিসেবে প্রচার করার একটিই অর্থ হতে পারে, সেটি দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার। এর ফলে পুরো বাংলাদেশ ও বাংলাদেশিরা বিশ্বের বুকে মিথ্যাবাদী বলে প্রতিপন্ন হবে আর আখেরে লাভবান হবে ভারত। তাই দেশের সকল ব্লগার ও অনলাইন একটিভিস্টের কাছে অনুরোধ, আপনারা বিভ্রান্তির এই বেড়াজালে পা দেবেন না। মিথ্যাচার করে দেশের মানহানি করবেন না। এই ধরণের মিথ্যাচার বিশ্বের বুকে জাতি হিসেবে আমাদের মাথা হেঁট করে দেবে। বিএসএফ যে অন্যায় করেছে তা দেখে এমনিতেই বিশ্ব-বিবেক ঘৃণায় রি রি করছে। একে অতিরঞ্জিত করে উপস্থাপন করার কোনও মানে হয় না।
বিভ্রান্তির বেড়াজালে বাংলাদেশ, এ মিথ্যাচার রুখতে হবে এক্ষুনি । দেশের মান ইজ্জত রক্ষার্থে সবার কাছে অনুরোধ এই ছবি ট্যাগ করে, শেয়ার করে, মেসেজ করে ওয়াল থেকে ওয়ালে ছড়িয়ে দিন, অবশ্যই সাথে যেন এই বিবরণ থাকে। একটি কথা মনে রাখতে হবে মিথ্যাচার সম্মান বাড়ায় না বরং মানহানি করে।
আদনান আরিফ সালিম অর্ণব
[email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, ২৫ জানুয়অরি, ২০১২