ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

মুক্তমত

নির্লজ্জ নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন না

পীর হাবিবুর রহমান  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২১
নির্লজ্জ নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন না পীর হাবিবুর রহমান

করোনা ও ক্যান্সারের সঙ্গে টানা এক বছরের যুদ্ধ শেষে আমার প্রাণের শহর সুনামগঞ্জ ঘুরে এলাম পৌনে দুই বছর পর। ভালো লেগেছে কত দিন পর আঁতুড়ঘরের মাটির ঘ্রাণ, উঠোন, বারান্দা, বাবার শূন্য চেয়ার আর মায়ের হুহু করে ওঠা খাট দেখে।

শহরের বাসা থেকে সড়কপথে ১০ মিনিটে যাওয়া যায় পূর্বপুরুষের স্মৃতিবিজড়িত গ্রামের বাড়ি। সেখানে বাবা-মা, ভাই-বোন পূর্বপুরুষদের সবার কবরও জিয়ারত করেছি।

পারিবারিক কবরস্থানের সামনেই বাবা-চাচার তৈরি প্রাচীন মসজিদ। কবরে শায়িতরা নিয়ত আজানের ধ্বনি শুনতে পান। নামাজ শেষে মুসল্লিরা নিয়মিত সবার কবর জিয়ারত করেন। যাক, অনেক বন্ধু-স্বজনের সঙ্গে দেখা হয়েছে এবার। বাড়ির মধ্যেই আড্ডা হয়েছে। অনেকের সঙ্গে দেখা হয়নি।

অনেক আনন্দ হলেও মন ভরেনি। কখনো কখনো মন ভরে না আমার সামান্য চাওয়ায়। গাড়ির মধ্যে থেকেই সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা ঘুরতে গিয়ে দেখেছি উন্নয়নে কতটাই না বদলে গেছে। গ্রামীণ জনপদ শহরের চেয়েও কি সুন্দর ঝলমল করে। কিন্তু ফিরে এসেই কঠিন ঠান্ডা জ্বরে আক্রান্ত হলাম আমি ও ডায়না। ক্যান্সারের লড়াই আমাকে কাবু করতে পারেনি কখনো, কিন্তু এবার জ্বর ঠান্ডায় একদম কাহিল শয্যাশায়ী করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারিনি। জীবনের সীমারেখা অনেকটাই টানা হয়ে গেছে আমার। তবু শয্যায় থেকে প্রধানমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানে যুক্ত করেছি নিজেকে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর মহান নেতার নামে কত নেতার সামনে কত সহস্রবার শপথ নিয়েছি। কিন্তু অনেক নেতাকেই সে শপথ রক্ষা করতে দেখিনি।

এবার বিজয় দিবসে প্রধানমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানে সারা দেশের অসংখ্য মানুষ যুক্ত হওয়ায় মহাবিজয়ের মহানায়কের নামে একটি গণজাগরণ হয়েছে। কিন্তু মানুষের মধ্যে আবেগ-অনুভূতি কতটা প্রবল কতটা তীব্র ক্ষমতার ছায়ায় তা নিয়ে সন্দেহ রয়ে গেছে। সর্বত্র কোথায় জানি একটা প্রাণহীনতা দেখি। কায়েমি স্বার্থবাদীদের দৌড়ঝাঁপ, শো-অফ, বাণিজ্য আর মতলবি মাতব্বরি দেখতে পাই। উৎসবের সমন্বয়কারী ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী যখন বঙ্গবন্ধুকন্যাদের মঞ্চে ডাকলেন তখন মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা দৃপ্ত পায়ে যেভাবে দৃঢ়তার সঙ্গে হেঁটে গেলেন তা দেখে মুুগ্ধ হয়েছি। মহান রব্বুল আলামিন তাঁকে সুস্থ, সবল রেখেছেন। রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে, মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাজনীতির আদর্শের বাতিঘর হিসেবে তাঁর ফিটনেস আশাবাদী করেছে। যাক, দীর্ঘ অসুস্থতায় এবারের মতো এমন মানসিকভাবে দুর্বল কখনো হইনি। গত সপ্তাহে কলামও লিখতে পারিনি। ডায়না তো তার মেজ চাচা অধ্যাপক মাহবুবে আলম শফির আকস্মিক মৃত্যুশোক সয়ে লাশ বাড়ি পাঠিয়ে সোজা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আর আমার চলেছে টেস্টের পর টেস্ট এবং রিপোর্ট মুম্বাই ও ঢাকার চিকিৎসকদের কাছে পাঠানো।

তাদের পরামর্শে ওষুধ সেবনে এখন জ্বর থেকে মুক্ত, ঠান্ডাও ছেড়েছে।  কিন্তু শরীর কাহিল। এর মাঝে নিষ্প্রাণ রাজনীতিতে ইউপি ভোট চলছে। নৌকার ভরাডুবি কীসের ইঙ্গিত দিচ্ছে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে উত্তেজনা ও আবেদনহীন বৈঠক চলছে রাজনৈতিক দলগুলোর। একই সঙ্গে নানা ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যুসংবাদ শোককাতর করেছে আমাকে। বিশেষ করে লঞ্চের আগুনে পুড়ে যাওয়া মানুষের জীবনের বীভৎস চিত্র দেখে। মানুষ নয় যেন কয়লার কঙ্কালের মিছিল। শোকের মাতম। কত আধুনিক একেকটি লঞ্চ কিন্তু যাত্রীদের নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা নেই। লঞ্চের মালিক আটক হয়েছেন। নৌদুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যুর শেষ নেই। আইনের পর আইন হয়। মানুষ তার স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি পায় না। এ জীবনে রাষ্ট্র ও সমাজের নানামুখী অসংগতি নিয়ে লিখতে লিখতে, বলতে বলতে নিজের শরীর মন ক্লান্ত হয়ে গেছে। মানুষের আকুতি শোকের মাতম গা-সওয়া হয়ে গেছে। কিন্তু অস্বাভাবিক মৃত্যু কখনো থামেনি। এত পর্যটকের ঢল নামে, হোটেলে হোটেলে জায়গা মেলে না, কিন্তু পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত-শোভিত কক্সবাজার এখনো পর্যটননগরী হতে পারেনি। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়নি। নিশ্চিত হয়নি পরিবেশবান্ধব পরিচ্ছন্ন শহরের। কক্সবাজার যেন মাদক কারবারি আর ধর্ষকদের অভয়ারণ্য। কি ভয়ংকর সংবাদ পর্যটকদেরই নয়, দেশবাসীকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। একটি পর্যটননগরী যেখানে দিন-রাত প্রকৃতির মুগ্ধতার টানে ছুটে যাওয়া নারী-পুরুষ উপভোগ করবে, যেখানে পুরুষ ছাড়াই নারীরা নির্বিঘ্নে বিচরণ করে বেড়াবে প্রকৃতিকন্যার মতো সেখানে পাশবিকভাবে স্বামী-সন্তানকে আলাদা করে গৃহবধূকে গণধর্ষণ করেছে একদল যৌনবিকৃত ধর্ষক। মানবতা এখানে প্রশ্ন তোলে না প্রচলিত আইনে সাক্ষী-সাবুদ নিয়ে এদের কি প্রাপ্য শাস্তি নিশ্চিত করা যাবে অনেকে বলেন, ক্রসফায়ারই হবে এ বর্বর জানোয়ারদের জন্য সেই কঠিন প্রাপ্য শাস্তি যার বীভৎসতা দেখে অসংখ্য অপরাধীর কলিজা কেঁপে উঠবে। অপরাধে পা ফেলতে ভয় পাবে। ধর্ষকদের মূল হোতাসহ কয়েকজন আটক হয়েছে। বাকি ধর্ষকদের দ্রুত আটক করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এ দেশে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু পর্যটকদের আকর্ষণের আয়োজন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করলে বেসরকারি বিনিয়োগেই এ খাতটি এগোবে। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ইলমাকে পাষ- স্বামী নির্দয় খুনির মতো গোটা শরীরে বর্বরোচিত অত্যাচার চালিয়ে হত্যা করেছে। কানাডাপ্রবাসী শুনেই তার ফ্রান্সে রেখে যাওয়া স্ত্রী-সন্তান আর তার চরিত্রে বাস করা পশুত্বের খবর না নিয়েই পরিবার বিয়ে দিয়েছিল।

বিয়ের পরই মেয়েটিকে তার বন্ধু-বান্ধবী নয় পরিবার থেকেও বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল খুনি স্বামী। শ্বশুরবাড়িতেও তার ওপর চলত নির্যাতন। অবাধ তথ্যপ্রবাহের এ যুগে বিশ্বায়নের এই সময়ে নারীর ক্ষমতায়নের আলো যখন দিকে দিকে জ্বলছে ঠিক তখন মধ্যযুগীয় কায়দায় দেশে ফিরে পশুর চেয়েও হিংস্র বন্য স্বামী নির্যাতনে হত্যা করে লাশ হাসপাতালে পাঠিয়ে শ্বশুরবাড়ি খবর দেয়। তারা ছুটে গিয়ে দেখে নিথর দেহজুড়ে শুধু আঘাতের চিহ্ন। এমন মর্মান্তিক বেদনাবহ হত্যাকান্ড এ সমাজ গ্রহণ করতে পারে না। নারীর নিরাপত্তার জন্য এ বর্বরের কঠোর শাস্তি অনিবার্য। তথাকথিত নারীবাদীদের কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ঘটনা তুলে ধরতে গিয়ে মেয়েটি ও তার পরিবারকে দোষারোপ করেছেন। কেন সম্পর্ক ছিন্ন করেনি। মেয়েটিকে তো অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। বাবার বাড়ির সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেছিল। মেয়েটির পরিবারের আর্থিক দুর্বলতা ছিল। মেয়েটি তাই মানিয়ে নিতে চেয়েছিল। যারা সমালোচনা করেছেন পশুর দিকে আঙুল তোলেননি, এদের কেউ নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার থেকে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছেন। তিন বছরের গভীর প্রণয়ের সম্পর্ক ছিন্ন করে অর্থ ও ক্ষমতার লোভে যাকে পাগলের মতো বিয়ে করেছিলেন সেখানে স্ত্রীর মর্যাদা দূরে থাক রক্ষিতার জায়গা হয়েছিল। নিয়ত অপমান, শারীরিক ও মানসিক বর্বর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

নিজের বাবা ভাইদের ডেকে এনে অপমান করে নিয়ে যেতে বললেও তিনি যেমন যাননি, তার পরিবারও নেয়নি। এরা জীবনের দুঃখ একসময় রাস্তার লোকদের বলতে বলতে রাস্তায় গুলি খেয়ে মরা টোকাই সন্ত্রাসী মুরগি মিলনের বুকেও মাথা রেখে কেঁদেছে। অন্যের মৃত্যুতে যা খুশি কমেন্ট করা সহজ। আয়নায় নিজের চেহারা দেখা এসব তথাকথিত নারীবাদীদের কঠিন। এ ধরনের নারীবাদীরা নিজেদের জীবনের অপমান গ্লানি ও লজ্জার প্রতিশোধ নিজের সন্তানের ওপরও নিতে ছাড়েন না। কেউ কেউ ছেলের দীর্ঘ প্রেমের বিচ্ছেদ ঘটিয়ে দেন। কেউবা পুত্রবধূর ওপর মানসিক নির্যাতন চালান। যদি সেই মেয়ের বাবার সামাজিক মর্যাদা ও অর্থের দাপট না থাকে। কেউ কেউ দেখতে মানুষের মতো হলেও আজন্ম ভিতরে মানবিক হৃদয় নয় পশুত্বের বর্বরতাকেই লালন করেন। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসা এসব নর-নারী যৌনবিকৃত সমাজ গড়ে। কাঁচা টাকায় সামাজিক মর্যাদা কেনে। সস্তা মানমর্যাদাহীন জীবনে সন্তানদের নিয়েও মদের অসর বসায়। মূল্যবোধ নির্বাসনে দিয়ে সমাজটাকে কলুষিত করে। এরা সামাজিক অপরাধী। সমাজের অপরাধ। কেবল শিক্ষা ও মেকআপ দেওয়া নর-নারীর সামাজিক চেহারা সমাজের পরিবর্তন আনতে পারে না। মানবিক মূল্যবোধ ও বিচারবোধ ভিতরে জাগ্রত না হলে কেউ কারও প্রতি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পারে না। সমাজকে আলোকিত করতে পারে না। আদর্শবান ও নীতিবোধসম্পন্ন মানুষ ছাড়া আলোকিত মানবিক সমাজ গঠন সম্ভব নয়। প্রতারক লোভী বিশ্বাসঘাতক মূল্যবোধহীন সুবিধাবাদী শ্রেণিসমাজকে প্রতিহিংসার হিংস্রতায় অমানবিক করে তোলে। এদের মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন প্রয়োজন। লোভ-লালসার সীমারেখা টানা প্রয়োজন।

বঙ্গভবনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির আলোচনা বা সংলাপ শুরু হয়েছে। এ নিয়ে এ কালের রাজনীতিতে কোনো উত্তাপ উত্তেজনা যেমন নেই তেমনি নেই গণমাধ্যমে। রাজনীতিতেও যে মেরুকরণ চলছে এটা তারই প্রতিক্রিয়া। এবার যে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে সেটি আগামী জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা করবে। অন্তত শক্ত মেরুদন্ডের ব্যক্তিত্ববান ব্যক্তিদের নিয়ে যেন নতুন নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়। বিদায়ী নির্বাচন কমিশন ছিল চরম বিতর্কিত আর অযোগ্যতার অভিযোগে ক্ষতবিক্ষত। প্রধান নির্বাচন কমিশনার থেকে কেউ ব্যক্তিত্বের আলোয় জ্বলে উঠতে পারেননি। একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে নড়বড়ে ও তামাশায় পরিণত করে গেছেন। আওয়ামী লীগের ১৩ বছরের ক্ষমতাকালে যারা নির্বাচন কমিশনে চাকরি করেছেন, অবসরে যাওয়ার পর দফায় দফায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ উপভোগ করেছেন কিংবা চরম দলকানা দলদাস বা সুবিধাভোগী হাইব্রিড হিসেবে নব্য আওয়ামী লীগার হিসেবে নিজেদের জাহির করেছেন সেই বেহায়া ব্যক্তিদের নিয়ে যেন একটি নির্লজ্জ নির্বাচন কমিশন গঠন না হয়। বিএনপি এখনো নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি করছে। এ দাবি আদায়ের মতো আন্দোলন করার শক্তি-সামর্থ্য বিএনপির নেই। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সংবিধানের বাইরে সেই তত্ত্বাবধায়কে আর ফিরে যাবে না। নির্বাচনকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার যেমন বহাল থাকবে তেমনি নির্বাচন কমিশনই নির্বাচন পরিচালনা করবে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন যেন অন্তত সুবিধাবাদী আওয়ামী লীগের সাবেক সরকারি কর্মকর্তা দ্বারা গঠিত না হয়। এমন নির্বাচন কমিশন যেন গঠিত হয় যাতে মানুষ অন্তত আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে পারে।

সম্প্রতি বিভিন্ন ঘটনায় ষড়যন্ত্রকারীদের কারও কারও মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। পশ্চিমারা কী বলল না বলল তা নিয়ে সেগুনবাগিচার কূটনৈতিকপল্লী বাতচিৎ করার আগেই একদল ঈদের আনন্দে খুশি হয়ে উঠলেন। টেলিভিশন টকশোকে সস্তা ও রাস্তায় নামিয়ে আনা তেজগাঁওয়ের মধ্যরাতের এক অ্যাংকর তার ফেসবুক টাইমলাইনে স্ট্যটাস দিলেন। গণতন্ত্র কথা বলতে শুরু করেছে। নিজের দেশের বিরুদ্ধে বিদেশি ষড়যন্ত্র হলে এ ধরনের মানুষ গণতন্ত্রের ভাষা দেখতে পায়। চরম মুজিববিদ্বেষী কট্টর শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগবিদ্বেষী এ অ্যাংকর ওয়ান-ইলেভেনে কোনো অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা ছাড়াই প্রমাণ করেছিল বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনি খন্দকার আবদুর রশীদের সঙ্গে তার গভীর যোগাযোগ ও ব্যক্তিগত সম্পর্কে গভীরতা। ওয়ান- ইলেভেনে টকশোর আলোচকদের নিয়ে নতুন দল গড়ার নেপথ্যের কুশীলব। সেনাসমর্থিত সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের নিয়ে সে অসংখ্য বৈঠকের আয়োজন করেছে। এদের অর্থের উৎস পর্যন্ত সরকার কখনো খতিয়ে দেখেনি। সম্প্রতি সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে শক্তিশালী রাষ্ট্রের বক্তব্য আসতেই ইঁদুরের গর্ত থেকে মুখ বের করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছে ‘গণতন্ত্র কথা বলতে শুরু করেছে’। বঙ্গবন্ধু শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নামের ওপর এদের রয়েছে হিংস্র প্রতিহিংসা।
               

লেখক:  নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

বাংলাদেশ সময়: ১১০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২১
এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।