ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

মুক্তমত

যুগ পেরিয়ে দেশের ডিজিটাল মিডিয়ার পাইওনিয়ার ‘বাংলানিউজ’

সোলায়মান হাজারী ডালিম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৯ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০২২
যুগ পেরিয়ে দেশের ডিজিটাল মিডিয়ার পাইওনিয়ার ‘বাংলানিউজ’

সময় পাল্টেছে। কাগজের পত্রিকা আর টেলিভিশনের সঙ্গে সমান তালে গুরুত্ব পাচ্ছে মূল ধারার অনলাইন গণমাধ্যম।

কিছু সময় টেলিভিশন-পত্রিকার চেয়েও অনলাইনের গুরুত্ব ও জনপ্রিয়তা ছাড়িয়ে যায়৷ 

হালের প্রাত্যহিক জীবনের অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে এ ডিজিটাল মিডিয়া। মানুষ মুহূর্তের খবর মুহূর্তে জানতে চায়। হাতে থাকা মুঠোফোনে চোখ বুলিয়ে পৃথিবীর সব প্রান্তের হাল হাকিকত বুঝতে চায়।

নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে আমাদের এই দেশে নতুন এই মিডিয়ার পথ-চলা একদম সহজ ছিল না।  বাংলাদেশে অনলাইন গণমাধ্যমের দীর্ঘ এ পথচলায় পাইওনিয়ার হয়ে রয়েছে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। বাংলানিউজকে পাইওনিয়ার বলার ক্ষেত্রে আমার নিজস্ব ব্যাখ্যা রয়েছে।  

আজ অথবা এখনকার যে অনলাইন গণমাধ্যমগুলো বড় ধরনের অর্থলগ্নি করে নতুন নতুন কনটেন্ট যেমন ব্রেকিং, পডকাস্ট, টকশো, কোনো একটি বিষয়ের ওপর বিশেষ আয়োজনসহ নানা কনটেন্ট দিয়ে চমক লাগানোর চেষ্টা করছে এসব কনটেন্ট বাংলানিউজ ১২ বছর আগে দেখিয়ে দিয়েছে।  

২০১০ সালে যখন বাংলানিউজ পথচলা শুরু করেছিল বাংলানিউজের তখনকার উদ্ভাবন দেখে বিস্ময় প্রকাশ করতে হতো বাংলাদেশের মিডিয়া পাড়াকে। বড় ধরনের একটা নাড়া দিয়ে দীপ্ত পথচলা শুরু করেছিলো বাংলাদেশের ডিজিটাল মিডিয়ার এই স্বপ্ন সারথী।  

আমার এখনও স্পষ্ট মনে পড়ে তখন আমি সবে কলেজ পড়ুয়া। এখনকার মতো মোবাইলের বিস্তার ছিল না, ল্যাপটপও এতটা বেশি চোখে পড়ত না। ডেসক্টপ কম্পিউটারে ঝকঝকে তকতকে দেখা যেতো বাংলানিউজের ওয়েব সাইট, নতুন নতুন বিষয় সামনে আসতো এই ক্যানভাসে।  

দেশের খ্যাতনামা তারকাদের অফিসে নিয়ে ইন্টারভিউ করতো। রেডিওর মতো শোনা যেতো বাংলানিউজের সংবাদগুলো। মোবাইলের মেসেজে চলে যেতো বাংলানিউজের ব্রেকিং নিউজগুলো। এসব দেখে মুগ্ধ হতাম। আর সাংবাদিকতা করলে এখানেই করার ইচ্ছে হতো। সম্ভবত এমন ইচ্ছেটা শুধু আমার একার হতো না তখনকার সময়ে যারাই সাংবাদিকতায় আসতে চাইতেন তাদের সবারই হয়তো পছন্দের শীর্ষে ছিল এই নিউ মিডিয়া।  

সমৃদ্ধ টিম, নতুন নতুন বিষয়, অর্থনৈতিক নিরাপত্তাসহ নানা দিক বিবেচনায় বাংলানিউজ সাংবাদিকতার অনন্য চর্চা কেন্দ্র।  
সৌভাগ্যক্রমে ২০১৪ সাল থেকে যুক্ত হওয়া বাংলানিউজ প্লাটফর্মের সঙ্গে।  সেই থেকে আজ অব্দি, বাংলানিউজ আমাকে দিয়েছে অনেক।  

মফস্বলে কাজ করেও বাংলানিউজ বিদেশ সফর উপহার দিয়েছে। বিদেশের মাটিতে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে। এখানে কাজের ফলশ্রুতিতে অর্জন করেছি বাংলাদেশ সরকারের এটুআই ও বাংলাদেশ জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট পুরস্কারসহ নানা সম্মাননা।  

বাংলানিউজকে আমি সাংবাদিক তৈরির পাঠশালা মনে করি- গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে যে কয়টি টেলিভিশন, পত্রিকা ও অনলাইনের শুভ সূচনা হয়েছে তার প্রায় সব কটিতে দেখেছি বাংলানিউজের সাবেক কর্মীদের শক্তপোক্ত অবস্থান ও দীপ্ত পথচলা।  

দিনে দিনে ১ যুগ পার হয়ে যাচ্ছে। মূলত দিনে দিনে নয়-বাংলানিউজের ক্ষেত্রে হবে ক্ষণে ক্ষণে। কারণ এখানে প্রতিটি সেকেন্ডকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়। শুরু থেকে এই পর্যন্ত যারা বাংলানিউজের পাঠক, তারা জানেন এখানে মিনিটে মিনিটে নতুন খবর পাওয়া যায়।  

কেবল খবরই নয়, ফিচার, ছবি, বিনোদন,সাহিত্য, সংস্কৃতি, ধর্ম, ইতিহাস, ঐতিহ্য, প্রকৃতি, জীববৈচিত্র্য, আবহাওয়া, স্বাস্থ্য, মানুষের মনোজগতের কথা, বিশ্লেষণ, মতামত সবই বাংলানিউজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৭ ঘণ্টা, ০১ জুলাই, ২০২২ 
এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।