ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

অন্যান্য দল

রামপাল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে উন্মুক্ত বিতর্কের চ্যালেঞ্জ সিপিবি’র

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৬
রামপাল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে উন্মুক্ত বিতর্কের চ্যালেঞ্জ সিপিবি’র

ঢাকা: রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাখান করে বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে প্রকাশ্য, উন্মুক্ত বিতর্কে অংশ নেওয়ার চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।

রোববার (২৮ আগস্ট) সিপিবি’র সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ এক বিবৃতিতে এ চ্যালেঞ্জ জানান।

গত শনিবার (২৭ আগস্ট) সংবাদ সম্মেলন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে বক্তব্য দেন এবং রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র হবে ও সুন্দরবনের ক্ষতি হবে না বলে জানান।

প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য নিয়ে দেওয়া বিবৃতিতে সিপিবি নেতারা বলেন, ঘরের মধ্যে সংবাদ সম্মেলনে ভুল, মনগড়া, অগ্রহণযোগ্য বক্তব্য না দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বা তার কোনো প্রতিনিধিকে উন্মুক্ত, প্রকাশ্য বিতর্কে অংশ নেওয়ার জন্য আবারও চ্যালেঞ্জ জানাই। আমরা বিদ্যুৎ চাই, কিন্তু তা কোনোভাবেই সুন্দরবনকে ধ্বংস করে নয়। বিদ্যুৎপ্রকল্প রামপাল থেকে সরিয়ে অন্যত্র করা সম্ভব। কিন্তু সুন্দরবন ধ্বংস হলে আরেকটা সুন্দরবন বানানোর ‘কৌশল’ নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রীর হাতে নেই। আমরা সুন্দরবনও চাই, বিদ্যুৎও চাই। সুন্দরবনকে ক্ষতিগ্রস্ত না করেই বিদ্যুৎ উৎপাদন ও উন্নয়ন সম্ভব।

বিবৃতিতে নেতারা আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলন চলছে। এই আন্দোলন শুধুমাত্র আবেগনির্ভর নয়, যুক্তির ওপর নির্ভর করেই দেশবাসীর সমর্থনে এই আন্দোলন গড়ে উঠেছে এবং অগ্রসর করা হচ্ছে। রামপাল প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে যে সুন্দরবন ধ্বংস হবে, তা যুক্তি ও তথ্য দিয়ে প্রমাণ করা হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে তথ্যভিত্তিক যুক্তি খণ্ডন না করে, সুন্দরবন ধ্বংসের পথে হাঁটার কথাই বলেছেন। সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলনের যৌক্তিকতা ভুল প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়ে, প্রধানমন্ত্রী গায়ের জোরে রামপাল প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা বলেছেন।

সিপিবি নেতারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বামপন্থীদের সম্পর্কে বিষোদগার ও কুৎসা করেছেন। বামপন্থীদের সম্পর্কে তার মন্তব্য অসত্য এবং বাস্তবতার পরিপন্থী। যুগে যুগে বামপন্থীরা আদর্শিক দায়বোধ থেকেই নানা নির্যাতন সহ্য করে জনগণের স্বার্থে আন্দোলন গড়ে তুলেছে। দেশের স্বার্থে বামপন্থীরা অনন্য অবদান রেখে চলেছে- এ কথা সর্বজনবিদিত। বামপন্থীদের সম্পর্কে অসত্য ও অগ্রহণযোগ্য মন্তব্য করে প্রকৃতপক্ষে প্রধানমন্ত্রী নিজেকেই প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত করেছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৬
এসকে/এসএনএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অন্যান্য দল এর সর্বশেষ