রোববার (১০ জুন) রাজধানীর শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে রাজনৈতিক নেতাদের সম্মানে বাংলাদেশ জনদল (বিজেডি) আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এ দাবি জানান।
ডা. বি চৌধুরী বলেন, পত্রিকায় দেখলাম খালেদা জিয়ার চিকিৎসকরা বলেছেন, তিনি সাত মিনিট অজ্ঞান ছিলেন।
সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, যেহেতু খালেদা জিয়া তিনবার প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধীদলের নেতা ছিলেন। সুতরাং অন্য বিবেচনা বাদ দিয়ে শুধুমাত্র রাজনৈতিক ও সামাজিক বিবেচনায় তার সঠিক চিকিৎসা হওয়া উচিত।
‘তাকে (খালেদা জিয়া) পৃথিবীতে এ ধরনের রোগের জন্য শ্রেষ্ঠতম নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানো উচিত। এই হিসেবে আমি তাকে লন্ডনের ইনস্টিটিউট অব নিউরোলজি কুইনন্স স্কয়ার অথবা লন্ডনের হ্যামার স্মিথ হাসপাতালের (সাবেক রয়েল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিকেল স্কুল) মতো নিরাময় কেন্দ্রে তার চিকিৎসা হওয়া উচিত। ’
ডা. বি চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিএনপি আমার (বি চৌধুরী) সঙ্গে এতো খারাপ ব্যবহার করার পরও আমি খালেদা জিয়ার পক্ষে কেন কথা বলি? স্মরণ রাখা উচিত- আমি আওয়ামী লীগ নেতা কাউন্সিলর একরাম হত্যারও তীব্র প্রতিবাদ করেছি। যেখানেই গণতন্ত্রের উপর আঘাত আসবে, যেখানে মানবতাবিরোধী কার্য্কলাপ হবে, সেখানে সরকার বা বিরোধী দল বুঝি না, অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলতেই থাকবো, এটা বিকল্পধারা ও যুক্তফ্রন্টের নীতি।
‘একটি অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন এখন জনগণের মৌলিক দাবি। এর জন্য নির্বাচনের অন্তত ১০০ দিন আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। তার আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার অথবা সবদলের সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকৃত জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ’
বিজেডির চেয়ারম্যান ডা. এস এম শাজাহানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান জয় চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, বিকল্পধারার সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, সোনার বাংলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হারুন অর রশিদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৮
এমএইচ/এমএ