তিনি বলেন, নির্বাচনে কোনো দল এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে দেশে স্বেচ্চাচারী সরকার প্রতিষ্ঠা হয়, এটা ইতিহাস আমাদের শিক্ষা দেয়।
বৃহস্পতিবার (২৩ আগস্ট) দলের কুড়িল বিশ্বরোডের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বিনিময় ও আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বি. চৌধুরী বলেন, ইতিহাস বারবার আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় একদলীয় ক্ষমতা রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মধ্যে উচ্ছৃঙ্খলতা, সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের মধ্যে দুর্নীতির প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে সরকার দেশের স্বার্থের বদলে দলীয় স্বার্থকে প্রাধাণ্য দেয়। এ থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় ভারসাম্যের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করা, এতে গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে এবং একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে স্বেচ্ছাচারের মাধ্যমে একটি দলের স্বার্থ উদ্ধারের প্রবণতা বন্ধ হবে।
সাবেক এ রাষ্ট্রপতি বলেন, অনেক কর্মকাণ্ডের জন্য র্যাব, পুলিশসহ আইন-শৃংখলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের অপবাদ দেওয়া হয়। কিন্তু এসবের জন্য দায়ি মূলত রাজনৈতিক নেতা, সংসদ সদস্য ও মন্ত্রিসভার সদস্যরা। কারণ তারাই ওই সমস্ত বাহিনীকে অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপ করতে বাধ্য করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মা্ন্নান, কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার মো. ইউসুফ, মাহবুব আলী, সাহিদুর রহমান, শাহ আহম্মেদ বাদল, মাহফুজুর রহমান, শাহ আলম, বিএম নিজাম, ওবায়দুর রহমান মৃধা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৮
এমএইচ/ওএইচ/