শুক্রবার (৩১ আগস্ট) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে তাদের আটক করা হয়। শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী সুপার (সদর) আবদুর রাজ্জাক খান বাংলানিউজকে এই তথ্য জানান।
আটক দু’জন হলেন- পুঠিয়া সদর ইউনিয়নের ধোপাপাড়া গ্রামের ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে শিবিরকর্মী ওয়াদুদ আলী (২০) ও কান্দ্রা গ্রামের মাহাবুর রহমানের ছেলে নাহিদুল ইসলাম (২৩)।
দু’জনকে পুলিশ পুঠিয়া ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক জামায়াত নেতা এএইচএম মুনসুরুল হক মন্টুর বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবদুর রাজ্জাক খান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাকিল উদ্দিন আহম্মেদের নেতৃত্বে ধোপাপাড়া গ্রামে অভিযান চালানো হয়। পরে জামায়াত নেতা মুনসুরুল হক মন্টুর বাড়িতে গোপন বৈঠকের সময় দুই শিবির কর্মীকে আটক করা হয়। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আগেই সেখান থেকে ১০-১৫ জন পালিয়ে যান।
এরপর বাড়িটি তল্লাশি করে ৫০টি জিহাদী বই, ৪টি পেট্রোল বোমা ও ২টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের থানায় নিয়ে আসা হয়।
পুঠিয়া থানার ওসি সাকিল উদ্দিন আহম্মেদ জানান, নাশকতার পরিকল্পনা করা লক্ষ্যে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা সেখানে গোপন বৈঠক করছিলেন। এ সময় দু’জনকে আটক করা হয়েছে। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্যরা পালিয়ে গেছে। এ ব্যপারে থানায় বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৮
এসএস/