শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক যুক্ত বিবৃতিতে তারা বলেন, হামদুল্লাহ মেহেদীর সাথে বাংলাদেশ লেবার পার্টির কোনো সর্ম্পক নেই। গত ৫ নভেম্বর, ২০১৭ মাল্টিপারপাসের নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা আত্মসাৎ ও লেবার পার্টির গঠনতন্ত্র বিরোধী কার্যক্রমের সাথে জড়িত থাকার অপরাধে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক হামদুল্লাহ মেহেদীসহ কয়েকজনকে লেবার পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হয়।
বিবৃতি আরও বলা হয়, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ হামদুল্লাহ মেহেদীকে মোহাম্মদপুর থানার মামলা নং-৮৩/২০১৬ মোতাবেক প্রায় ৬৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেফতার করে সিআইডি পুলিশ। এতে মেহেদী দুইদিনের রিমান্ড ও ২২ দিন কারাভোগ করেন। তার বিরুদ্ধে লেবার পার্টির নেতা-কর্মী ছাড়াও অসংখ্য মানুষের সাথে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ লেবার পার্টি খালেদা জিয়ার মুক্তি, গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। ঠিক তখনই জনগণের দৃষ্টি আড়াল করতে কুচক্রিমহল এক বছর পূর্বে বহিষ্কৃত মহাসচিব মেহেদীকে দিয়ে হাস্যকরভাবে ২০ দলীয় জোট ও বাংলাদেশ লেবার পার্টির ঐক্যে ফাটল ধরানোর নামে মিথ্যা নাটক মঞ্চস্থ করছে।
তারা বলেন, বাংলাদেশ লেবার পার্টির ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের গণতান্ত্রিক সংগ্রাম ও কার্যক্রমের সাথে একমত পোষণ করে বিগত আন্দোলন সংগ্রামের ন্যায় সক্রিয় ভূমিকা রাখবে। তাই বাংলাদেশ লেবার পার্টি ও বাংলাদেশ ছাত্রমিশনসহ জাতীয়তাবাদী ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাসী শক্তিকে অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানাই।
লেবার পার্টি থেকে বহিষ্কৃত মহাসচিব হামদুল্লাহ মেহেদী দলের কয়েকজন নেতাকে নিয়ে খণ্ডিত লেবার পার্টি হিসেবে এতদিন ২০ দলীয় জোটে থাকলেও শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) তারা বিকল্পধারার সঙ্গে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৮
এমএইচ/এমজেএফ