শুক্রবার (২ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত এক সমাবেশে এ আখ্যা দেন তিনি।
জোনায়েদ সাকি বলেন, কেবল সরকারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ইভিএম ব্যবহারের এই তড়িঘড়ি উদ্যোগ প্রমাণ করে বর্তমান নির্বাচন কমিশন সরকারের কতোটা আজ্ঞাবাহী।
অবিলম্বে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত বাতিলের জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান জোনায়েদ সাকি।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী সাকির সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন দলের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য তাসলিমা আখতার, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, মনিরউদ্দীন পাপ্পু, আরিফুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সদস্য দিপক রায়, অ্যাডভোকেট জান্নাতুল মরিয়ম তানিয়া। সমাবেশ পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় সংগঠক সৈকত মল্লিক।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, অগণতান্ত্রিক নিবন্ধন আইন এখন কেবল নতুন চিন্তা ও দল গঠনের বাধাই নয়, রাজনীতি নিয়ন্ত্রণেরও হাতিয়ার হয়ে উঠছে। ভিত্তিহীন অভিযোগে গণসংহতি আন্দোলনের নিবন্ধন প্রক্রিয়া আটকে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
তফসিল ঘোষণার আগে অবিলম্বে গণসংহতির নিবন্ধন দেওয়ার দাবি জানান নেতারা। একইসঙ্গে ‘অগণতান্ত্রিক নিবন্ধন আইন’ বাতিল ও আরপিওকে গণতান্ত্রিক করার উদ্যোগ নেওয়ার মাধ্যমে নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরির দাবি জানান তারা।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৮
এইচএ/