বুধবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডে নিজের বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে ড. কামাল এ কথা বলেন। দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সংলাপের পর এ সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুরসহ অন্যরা।
ড. কামাল বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবি নিয়ে সীমিত পরিসরে আলোচনা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সারাদেশে হাজার হাজার নেতাকর্মীর নামে যেসব মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছে, সেগুলো প্রত্যাহার ও ভবিষ্যতে আর কোনো গায়েবি হয়রানিমূলক মামলা ও ঐক্যফ্রন্ট নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হবে না বলে প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব ফখরুল বলেন, আমাদের বলা হয়েছিল আলোচনার সুযোগ রয়েছে। তাই আমরা জনগণের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলাম। সংলাপ যদি সফল না হয়, কোনো সমাধান না আসে, তাহলে এর দায়-দায়িত্ব সরকারের।
ফখরুল জানিয়ে দেন, সংলাপ চলতে থাকা অবস্থায় নির্বাচনের তফসিল পেছানোর দাবি সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার তা ঘোষণা হলে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে পদযাত্রা করবে ঐক্যফ্রন্ট।
ঐকফ্রন্টের মুখপাত্র বলেন, সাত দফার মধ্য প্রথম দফাই ছিল খালেদা জিয়ার মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ এবং সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন। দ্বিতীয় দফায় ছিল নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন। এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আমরা প্রস্তাব করেছি সীমিত পরিসরে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে এই আলোচনার কোনো সম্পর্ক থাকবে না। প্রয়োজনে আবারও তফসিল ঘোষণা করা যাবে। তারা বলেছেন তফসিল রিশিডিউলড করা যেতে পারে।
সংলাপে আশার আলো দেখছেন কি-না? এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, জনগণ আশার আলো দেখলেই আশার আলো দেখা হবে।
ঐক্যফ্রন্টের সাত দফার মধ্যে কয়টা দাবি সরকার মেনেছে? এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, আমরা সবগুলো নিয়েই ভাবছি।
এছাড়া বৃহস্পতিবার রোডমার্চ করে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা রাজশাহী যাবেন এবং শুক্রবার সেখানে জনসভা করবেন বলেও জানান ফখরুল।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৮
এমএইচ/এইচএ/
** ১০ উপদেষ্টার নির্দলীয় সরকারের প্রস্তাব ঐক্যফ্রন্টের