প্রাথমিকভাবে সারা দেশে ২৫টি আসনে চিঠি পেলেও চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন পেয়েছেন ২২জন। এর বাইরে দুটি আসনে জামায়াত স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
আসন দুটি হলো চাপাইনবাগঞ্জ-৩ ও পাবনা-১। ২৫ আসনের যে তিনটি জামায়াত ছেড়ে দিয়েছে সেগুলো হচ্ছে- সিলেট-৫, সিলেট-৬ ও সাতক্ষীরা-৩।
২২ আসনে ধানের শীষ নিয়ে জামায়াতের চূড়ান্ত মনোনয়নপ্রাপ্তরা হলেন- আব্দুল হাকিম (ঠাকুরগাঁও-২), মোহাম্মদ হানিফ (দিনাজপুর-১), আনোয়ারুল ইসলাম (দিনাজপুর-৬), মনিরুজ্জামান মন্টু (নীলফামারী-২), আজিজুল ইসলাম (নীলফামারী-৩), গোলাম রব্বানী (রংপুর-৫), মাজেদুর রহমান সরকার (গাইবান্ধা-১), রফিকুল ইসলাম খান (সিরাজগঞ্জ-৪), ইকবাল হুসেইন (পাবনা-৫), মতিয়ার রহমান (ঝিনাইদহ-৩), সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের (কুমিল্লা-১১), এএইচএম হামিদুর রহমান আজাদ (কক্সবাজার-২), আ ন ম শামসুল ইসলাম ( চট্টগ্রাম-১৫)।
আবু সাঈদ মুহাম্মদ শাহাদত হোসাইন (যশোর-২), অ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াদুদ শেখ (বাগেরহাট-৩), অধ্যাপক আবদুল আলীম (বাগেরহাট-৪), মিয়া গোলাম পরওয়ার (খুলনা-৫), আবুল কালাম আযাদ (খুলনা-৬), মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক (সাতক্ষীরা-২), গাজী নজরুল ইসলাম (সাতক্ষীরা-৪), শামীম সাঈদী (পিরোজপুর-১), ডা. শফিকুর রহমান (ঢাকা-১৫)।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মাওলানা আব্দুল হালিম রোববার দুপুরে বাংলানিউজকে বলেন, আমরা জোট থেকে চূড়ান্তভাবে ২২টি আসন পেয়েছি। এর বাইরে আমাদের দুজন প্রার্থী স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করার সম্ভাবনা আছে।
তারা হলেন, চাপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে নূরুল ইসলাম বুলবুল ও পাবনা-১ আসনে সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে ব্যারিস্টার নাজিবুর মোমেন। এর বাইরে যেসব আসন থেকে জামায়াত প্রার্থীরা স্বতন্ত্রভাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন তা প্রত্যাহার করবেন তারা।
পাবনা-১ আসন থেকে ২০০৮ সালে যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী নির্বাচন করেছিলেন। এবার এই আসনটি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে দেওয়া হয়েছে।
ওই আসনটি পেয়েছেন সদ্য গণফোরামে যোগদানকারী আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ। তিনি এবার ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়ছেন নির্বাচন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৮
এমএইচ/এমএ