বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে তারা এ মন্তব্য করেন।
তারা বলেন, সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী- ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণে জনগণ আগ্রহী না হলে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নেই’ বলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা যে মন্তব্য করেছেন, তা দেশপ্রেম ও দায়িত্বজ্ঞান বিবর্জিত।
দায়িত্ব পালনে ন্যাক্কারজনক ব্যর্থতার দায় নিয়ে বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে অনতিবিলম্বে পদত্যাগের আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে যে কয়টি ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা, জেলা, সিটি করপোরেশন, সংসদ ও উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সেগুলোর একটিও অবাধ, সুষ্ঠু হয়নি। সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিনে না হয়ে রাতেই সম্পন্ন হয়েছে। এসব নির্বাচনে জনমতের প্রতিফলনের সুযোগ না থাকায় অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবেই জনগণ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। এ ধরনের পরিস্থিতি জাতির জন্য মারাত্মক হতে বাধ্য।
‘নির্বাচন কমিশনের কাজ হচ্ছে এমন একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি করা যেখানে সব ভোটার নির্ভয়ে, অবাধে, কালো টাকা বা পেশীশক্তির প্রভাবমুক্ত পরিবেশে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে সক্ষম হবেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন কাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টিতে ন্যাক্কারজনকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ এসব পরীক্ষিত অযোগ্য ব্যক্তিদের থেকে রাষ্ট্রকে মুক্ত করতে চায়। ’
বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, সামান্যতম সম্মানবোধ থাকলেও বর্তমান অথর্ব নির্বাচন কমিশনের অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত। স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে নিয়মতান্ত্রিক অহিংস পন্থায় আন্দোলন গড়ে তাদের বিদায় দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাংলাদেশের জনগণ বহু ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে ভোটের অধিকার অর্জন করেছে। জনগণকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রাখা যাবে না।
তারা আরও বলেন, কেউ যদি ভেবে থাকেন যে জনগণের ভোটাধিকার লুণ্ঠন করে দায়বদ্ধতা ছাড়া দেশ শাসনের নামে সীমাহীন লুটপাট, খাই খাই দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতি চালিয়ে যাবেন, তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। অনৈতিক দেশদ্রোহী কর্মকাণ্ডে সহযোগীদেরও এদেশের মানুষ বিচারের মুখোমুখী করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯
এমএইচ/এএটি