সোমবার (০১ এপ্রিল) রাতে বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে মোকাব্বির খান বলেন, দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মঙ্গলবার শপথ নেব।
অপরদিকে দলের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সর্বশেষ সিদ্ধান্ত ছিল কেউ শপথ নেবে না।
সুব্রত চৌধুরী বলেন, আমরা জানতে পেরেছি মোকাব্বির খান দলের সাধারণ সম্পাদকের সই ছাড়াই দলীয় প্যাড ব্যবহার করে শপথ নেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছেন। এটা তিনি ঠিক করেননি। ২০ এপ্রিল দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মোকাব্বির খান বলেন, আমি নির্বাচিত হওয়ার পর সংসদ থেকে আমাকে শপথ নেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছে। সেই চিঠির জবাবে আমি সোমবার (০১ এপ্রিল) শপথ নেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে স্পিকার বরাবরে চিঠি দিয়েছি। দশ মিনিটের মধ্যে চিঠির জবাবও পেয়েছি। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় আমার শপথ অনুষ্ঠান হবে।
যেহেতু দলের সাধারণ সম্পাদকের দেওয়া মনোনয়নপত্র নিয়ে আপনি নির্বাচিত হয়েছেন, সেক্ষেত্রে শপথ নেওয়ার আগে সাধারণ সম্পাদকের এমন কোনো লিখিত অনুমতির প্রয়োজন আছে কি না জানতে চাইলে মোকাব্বির বলেন, না সে ধরনের কোনো আইন নেই। আমি সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছি। দলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক শপথ নেব। আমি নিজে সই করেই চিঠি দিয়েছি।
গণফোরামের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পথিক বাংলানিউজকে বলেন, মোকাব্বির খান সত্য বলেননি। তার শপথ নেওয়ার বিষয়ে দল তাকে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। গত ৩০ ডিসেম্বরের পরে এখন পর্যন্ত দলের কোনো সভায়ই এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি যে, মোকাব্বির শপথ নেবেন। বরং তিনি দলীয় প্যাড চুরি করে নিজেই সই করে চিঠি দিয়েছেন।
কোনো কোনো গণমাধ্যমে ড. কামাল হোসেন তাকে অনুমতি দিয়েছেন বলে মোকাব্বির খান যে বক্তব্য দিয়েছেন সে বিষয়ে পথিক বলেন, গণফোরাম ড. কামাল হোসেনের একক সম্পত্তি নয়। এই দলের সকল সদস্য এটার মালিক। সুতরাং ড. কামাল হোসেন এ ধরনের সিদ্ধান্ত দিতে পারেন না। আমার জানামতে তিনি এমন সিদ্ধান্ত দেননি।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৯
এমএইচ/এমএইচএম