বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে ডিওএইচএসের নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
কর্নেল অলি বলেন, ২০১৪ সালের পর থেকে দেশ একদলীয় শাসনের দিকে অগ্রসর হয়েছে।
খালেদা জিয়ার মুক্তির বিনিময়ে বিএনপির এমপিদের সংসদে যাওয়ার কথাবার্তা হচ্ছে, এ বিষয়ে কর্নেল অলি বলেন, যদি এটা সত্য হয়ে থাকে তাহলে আমি মনে করি কেউ লোভের বশীভূত হয়ে খালেদা জিয়াকে ব্লাকমেইল করছে এবং বিএনপিকে বিপদগামী করছে।
খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে যতদূর জানি বা চিনি, আমার থেকে তাকে বেশি কেউ ঘনিষ্ঠভাবে জানেন না। রাজনৈতিক, পারিবারিক সামাজিক, আমি তার সঙ্গে যেভাবে সংশ্লিষ্ট ছিলাম এভাবে বিএনপির আর কেউ ছিল না। আমি যতদূর জানি, তিনি কখনও নিজের সুবিধার জন্য কারও সাথে আপস করবেন না।
নির্বাচিত আট এমপি শপথ নিলে এলডিপির অবস্থান কী হবে— এমন প্রশ্নের জবাবে কর্নেল অলি বলেন, লোভ ও জাতির সঙ্গে বেইমানি করা কোনো কাজে এলডিপি কখনও সমর্থন করবে না। ১৮ কোটি ভোটারের সঙ্গে বেঈমানি করে যদি সংসদে যায় সেটা আমি সমর্থন করবো না।
সোনাগাজীতে পুরিয়ে মারা নুসরাতের বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে একাধিক জায়গায় প্রতিনিয়ত রেপ করা হচ্ছে। এই প্রথমবার সোনগাজীর ঘটনা নিয়ে সারাদেশ উত্তপ্ত হয়েছে। এখানে বোধগম্য নয়, এই রেপটাকে এত গুরুত্ব কেন দিল। আগের রেপগুলি যেখানে হয়েছে সেগুলি কেন গুরুত্ব পেল না। সোনাগাজীতে রেপ হওয়ার কারণে প্রধানমন্ত্রী ওই মেয়ের মা-বাবাকে ডেকে আর্থিক অনুদান দিয়েছেন। আগামীতেও তাদের আর্থিক অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে আমি শুনেছি। তাকে এজন্য আমি এলডিপির পক্ষ থেকে দলের সভাপতি ও একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। এখানে আমার মনে একটি প্রশ্ন তিনি একজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অন্যান্য যেসব রেপ হয়েছে, তাদের সুযোগসুবিধাগুলি কেন দিলেন না? এবার যেভাবে রেপিস্টগুলিকে ধরে নিয়ে আসলো, অন্যান্য জায়গায় রেপগুলি হয়েছে তারা এখনও কেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। এগুলির বিচার হচ্ছে না। রেপ এর বিচার এদেশে নেই বললেই চলে। এই প্রথমবার দেখলাম সোনাগাজীর ঘটনায় দ্রুত ধরা পড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৯
এমএইচ/এমজেএফ