এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে শনিবার (১৮ মে) দুপুরে মান্না বাংলানিউজকে বলেন, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই। এ অবস্থায় আমি নির্বাচন করতে চাই না, করবো না।
বগুড়া-৬ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আসন বলেই পরিচিত। তিনি ওই আসন থেকে কয়েকবার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু একাদশ জাতীয় নির্বাচনে কারাবন্দি খালেদার মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ওই আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেন এবং বিজয়ী হন। তবে নির্বাচিত হওয়ার পর ৯০ কার্য দিবসের মধ্যে ফখরুল শপথ না নেওয়ায় স্পিকার আসনটি শূন্য ঘোষণা করেন।
পরে নির্বাচন কমিশন ওই শূন্য আসনে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ হবে ২৪ জুন। তার আগে মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় ২৩ মে। মনোনয়নপত্র বাছাই ২৭ মে এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩ জুন। সে হিসেবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আর সময় আছে মাত্র ৫ দিন।
আসনটিতে ঐক্যফ্রন্ট বা বিএনপির প্রার্থিতার বিষয়ে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বর্তমানে চিকিৎসার জন্য ব্যাংককে আছেন। আগামী ২০ মে তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। তিনি দেশে ফিরলেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ছাড়াও বগুড়া-৬ আসনের সম্ভাব্য লড়াইয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বিশেষ সম্পাদক ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ড. আসাদুজ্জামান রিপনের নামও শোনা যাচ্ছে।
জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান রিপন বাংলানিউজকে বলেন, বগুড়া-৬ আসনের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে কি-না সেটা এখনও দলীয় ফোরাম চূড়ান্ত করেনি। তবে এই সরকারের অধীনে বিগত দিনে দেশে যে ধরনের নির্বাচন হয়েছে তাতে আমি ব্যক্তিগতভাবে এই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পক্ষে নয়। তারপরও যেহেতু আমি একটি দল করি। দল যদি আমাকে সেখানে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত দেয় তাহলে হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে।
যোগাযোগ করা হলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বাংলানিউজকে বলেন, এখনো অনেক সময় আছে। দল কাকে মনোনয়ন দেবে সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। চূড়ান্ত হলে জানিয়ে দেওয়া হবে।
বগুড়ার স্থানীয় নাকি কেন্দ্রীয় কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বগুড়ায় স্থানীয় অনেক প্রার্থী আছেন। তাদের মধ্যে থেকে দেওয়া হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৯
এমএইচ/এইচএ/