বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাজেট উত্থাপনের পর মান্না এ প্রতিক্রিয়া দেন। এবারের বাজেটের আকার ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।
মান্না বলেন, অর্থমন্ত্রী তার বক্তব্যে বললেন এটা জনকল্যাণমুখী বাজেট হবে। কিন্তু জনকল্যাণমুখী কোনো প্রজেক্টইতো নেই। শিক্ষা-স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ কম, সামাজিক নিরাপত্তা নেই, বয়স্কদের জন্য কিছু নেই। বড় ধরনের ঘাটতির বাজেট। সবচেয়ে বড় কথা রাজস্ব আয় করা নিয়ে বড় ধরনের হুমকি রয়েছে।
‘তারা লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন এক কোটি লোককে করের আওতায় আনবেন। এটা এতো সোজা কথা নয়। এক বছর পরে রাজস্ব আদায় হবে। এই এক বছর কিভাবে চলবে? ব্যাংক থেকে নিয়ে চলবে, তাও ব্যাংকে লিকুইড মানি (তরল মুদ্রা) নেই। ব্যাংকের রিফর্মের ওপরেও কোনো কথা বলেননি। পুঁজিবাজার নিয়ে অনেক কথা বললেন, পুঁজিবাজারের এই এই এগুলো ঠিক করবেন। কিন্তু পুঁজিবাজার যে মারা যাচ্ছে তা নিয়ে কিছু বলেননি। ’
মান্না বলেন, উন্নয়নের ব্যাপারে এ বছরের বাজেটে উল্লেখযোগ্য কিছু নেই। এককথায় এটা গতানুগতিক সাধারণ মাত্রার একটা বাজেট। আকারের দিক থেকেই শুধু বড়।
এক প্রশ্নের জবাবে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, গরিব মানুষের জন্য এই বাজেটে কিছুই নেই। এতো বেকারের দেশ, এতো কর্মসংস্থানের অভাব, কিন্তু সেই কর্মসংস্থান নিয়ে কিছু বলা হয়নি। ১০০ কোটি না কতো টাকার একটা বরাদ্দ রেখে দেওয়া হয়েছে। সেটা কিভাবে কী হবে তার কোনো ঠিক নেই। গতবার বরাদ্দ রেখেছিল, তা খরচই করেনি। এবারও খরচ করার মতো কোনো কিছু নেই। সেদিক থেকে আমি বলবো যে এটা হতাশাজনক একটা বাজেট।
আরেকটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারাতো বলছে শতকরা ৫ ভাগ মূল্যস্ফীতি গ্রহণযোগ্য। ট্যাক্স কোথায় বাড়ালো কমালো তার কোনো খবরই নেই। শুধু টেলিফোন কলরেটের কথা পত্রিকায় এসেছে, সেটাতো বক্তৃতায় দেখলাম না। তাছাড়া আমি পুরো বক্তৃতা এখনো পাইনি। অর্থমন্ত্রী একটা কথা বলেছেন যে, ট্যাক্স এমনভাবে করবেন যেন দ্রব্যমূল্য না বাড়ে। এটা এখন দেখার বিষয়। আর মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশের বেশি হবে বলে আমার মনে হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৯
এমএইচ/এইচএ/