বৃহস্পতিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়াও বিবৃতিতে বিষয়টির একমত প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে জেবেল রহমান গাণি বলেন, সমুদ্রের গ্যাস উত্তোলনে যে পিএসসি-২০১৯ প্রণয়ন করা হয়েছে, তাতে বিদেশি কোম্পানিকে রপ্তানির সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। যা দেশের স্বার্থের পরিপন্থী। বিদেশি কোম্পানির কাছ থেকে বাংলাদেশকে যে গ্যাস কিনতে হবে, সেটার দাম বাড়িয়ে ৭.২৫ মার্কিন ডলার করা হয়েছে। ট্যাক্স মওকুফ করা হয়েছে। ফলে কার্যত গ্যাসের দাম পড়বে ১০ মার্কিন ডলার। সরকার সমুদ্রের গ্যাস রপ্তানির সুযোগ রেখে যে পিএসসি করলো, এতে ভবিষ্যতে নিজেদের গ্যাস বিদেশিদের কাছে তুলে দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
তিনি বলেন, সরকারের এসব উদ্যোগে বিভিন্ন বিদেশি কোম্পানি আর তাদের দেশি কমিশনভোগীদের পকেট ভারীর ব্যবস্থা হচ্ছে। আর বাংলাদেশের জন্য সৃষ্টি করা হচ্ছে মহাবিপর্যয়। নিজেদের গ্যাস সম্পদ যথাযথভাবে উত্তোলন ও দেশের কাজে শতভাগ ব্যবহারের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিলে দেশে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে সুলভ টেকসই সমাধান সম্ভব।
‘একদিকে গ্যাস সংকটের কথা বলে ব্যয়বহুল এলএনজি আমদানি, রামপালসহ দেশবিনাশী কয়লা ও পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন, অন্যদিকে দেশের গ্যাস সম্পদ বিদেশে রপ্তানি করার সিদ্ধান্ত জনগণ কোনোভাবেই মেনে নেবে না। ’
অবিলম্বে যেকোনো মূল্যে গ্যাস রপ্তানির সিদ্ধান্ত বাতিল, শতভাগ মালিকানা নিশ্চিত করে সমুদ্র এবং স্থলভাগের গ্যাস উত্তোলনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ ও দেশের স্বার্থে গ্যাস ব্যবহারের দাবি করেছে ন্যাপ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৯
এমএইচ/টিএ