শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়, বাহাদুর শাহ পার্ক, শ্যামপুর রেলস্টেশন, ধানমন্ডি-১৫ বাসস্ট্যান্ড, মোহাম্মদপুর টাউন হল, মিরপুর-১০ গোলচক্কর এবং সাভার বাসস্ট্যান্ডে এসব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আয়োজিত বিক্ষোভ-সমাবেশে নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা লুটপাটের মহোৎসব শুরু করছে।
এর আগেও ভারতকে একতরফা সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তিস্তাসহ অভিন্ন নদীসমূহের পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বাংলাদেশকে বহুদিন থেকে বঞ্চিত করছে ভারত। অথচ ফেনী নদীর পানি ভারতকে দেওয়ার চুক্তি করা হয়েছে। বাংলাদেশ কর্তৃক ভারতে এলপিজি রপ্তানির বিষয়টি দেশের স্বার্থের জন্য আত্মঘাতী। সমুদ্র উপকূলে ভারতের ২০টি রাডার বসানোর যে চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে, তা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ।
ছাত্রলীগের হাতে বুয়েটের আবরার ফাহাদের হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সরকারি দলের দানবীয় রূপ আবারও ফুটে উঠেছে। এটি সরকারি দলের নির্মমতার একটি জ্বলন্ত উদাহরণ।
নেতারা আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ক্যাসিনো-বাণিজ্য, ক্রাইম সিন্ডিকেট ও লুটেরা চক্রের ভয়াবহ রূপটি প্রকাশ্যে এসেছে। যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতারা বেপরোয়া চাঁদাবাজি, লুটপাট, ঘুষ-দুর্নীতির বিষয়টি এখন মানুষ জানতে পারছে। লুটপাট আর ত্রাসের রাজত্ব চলতে পারে না।
জাতীয় স্বার্থবিরোধী যেকোনো পদক্ষেপের বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয় সমাবেশ থেকে।
এসব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম, সহ-সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, আহসান হাবিব লাবলু, জলি তালুকদার, অ্যাডভোকেট মণ্টু ঘোষ, অধ্যাপক এম এম আকাশ, ডা. সাজেদুল হক রুবেল, মোসলেহউদ্দিন প্রমুখ।
সমাবেশ থেকে জানানো হয়, শনিবার (১২ অক্টোবর) সিপিবি একই দাবিতে সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৯
আরকেআর/এইচএডি