রোববার (২০ অক্টোবর) ওয়ার্কার্স পার্টির কামরুল আহসান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে মেনন একথা বলেন।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে বরিশাল নগরের অশ্বিনী কুমার হলে ওয়াকার্স পার্টির বরিশাল জেলা শাখার সম্মেলনে মেনন অভিযোগ করেন, বিগত ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির এ সভাপতি বলেন, ‘আমি সাক্ষী, এই নির্বাচনে আমিও নির্বাচিত হয়েছি। আমি সাক্ষী দিয়ে বলছি, আমি জনগণ, সেই জনগণ, তারা ভোট দিতে পারে নাই। ইউনিয়ন পরিষদে পারে না, উপজেলা পরিষদে পারে না। তাহলে (প্রধানমন্ত্রী) শেখ হাসিনা, আপনি-আমি মিলে যে ভোটের জন্য লড়াই করেছি, ঘেরাও করেছি, আজিজ কমিশনের সেই ১ কোটি ১০ লাখ ভোটারের তালিকা ছিঁড়ে ফেলার জন্য নির্বাচন বর্জন করেছিলাম, নমিনেশন সাবমিট করার পরে, আজকে কেন আমার দেশের মানুষ, আমার ইউনিয়ন পরিষদের মানুষ, আমার উপজেলার মানুষ, আমার জেলার মানুষ আমার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে আসবে না?’
রোববারের বিবৃতিতে রাশেদ খান মেনন বলেন, বরিশাল জেলা পার্টির সম্মেলনে আমার একটি বক্তব্য সম্পর্কে জাতীয় রাজনীতি ও ১৪ দলের রাজনীতিতে একটা ভুল বার্তা গেছে। আমার বক্তব্য সম্পূর্ণ উপস্থাপন না করে অংশ বিশেষ উত্থাপন করায় এই বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই এ যাবতকালের নির্বাচন ১৪ দলের সংগ্রামেরই ফসল এবং সরকারও গঠিত হয়েছে ১৪ দলের লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে। আজকে মৌলবাদ-সাম্প্রদায়িকতার যে বিপদ বিদ্যমান তাকে মোকাবেলা করতে ১৪ দলের ওই সংগ্রামকেই এগিয়ে নিতে হবে।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, আমি কেবল এখনই নয়, জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে আমি পার্লামেন্টে রাষ্ট্রপতি ভাষণের ওপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছিলাম ‘একাদশ সংসদের সফল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু অভিজ্ঞতাটি সুখকর নয়। বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনে এলেও নির্বাচনকে ভণ্ডুল করা, নিদেনপক্ষে জাতীয়-আন্তর্জাতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করার কৌশল প্রয়োগ করেছে নির্বাচনে। ...এটা যেমন সত্য, তেমনি এ ধরনের পরিস্থিতিতে অতি উৎসাহী প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বাড়াবাড়ি করতে পারে। কিন্তু তাতে এই নির্বাচন অশুদ্ধ বা অবৈধ হয়ে যায় না। ’ বক্তৃতায় আমি বলেছি স্বাধীনতা উত্তরকাল থেকে এ যাবত জিয়া-এরশাদ-বিএনপি-জামায়াত আমলের ধারাবাহিক অনিয়ম অব্যবস্থাপনা ও ক্ষমতার অপব্যবহার ঘটেছে। বিভিন্ন সময় আমি প্রার্থী হিসেবে এ সব ঘটনার সাক্ষী। আমি বলেছি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মিলে ভোটাধিকার ও ভোটের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে আমরা যে লড়াই করেছি তা যেন বৃথা না যায়, সেজন্য নির্বাচনকে যথাযথ মর্যাদায় ফিরিয়ে আনতে হবে।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের সাবেক এ মন্ত্রী বরিশালের ওই অনুষ্ঠানে আরও বলেন, উন্নয়ন মানেই গণতন্ত্র হরণ নয়, উন্নয়ন মানেই ভিন্নমতের সংকোচন নয়। উন্নয়ন মানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ নয়। উন্নয়ন মানে গণতন্ত্রের স্পেস কমিয়ে দেওয়া নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৯
এইচএ/
** আমি সাক্ষী, গত নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি: মেনন