ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অন্যান্য দল

শুদ্ধি অভিযানে তদবির না করার আহ্বান ইনুর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৯
শুদ্ধি অভিযানে তদবির না করার আহ্বান ইনুর

ঢাকা: বর্তমান সরকারের চলমান শুদ্ধি অভিযানে কারও জন্য কোনো প্রকার তদবির না করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

তিনি বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে শুদ্ধি অভিযান একটি অবশ্য কর্তব্য। জঙ্গি দমনের সময় বলেছিলাম কারও জন্য তদবির করা যাবে না।

এখনও ঠিক একই পরিস্থিতি। তবে জঙ্গি দমনের চেয়ে দুর্নীতি দমনের যুদ্ধ আরও কঠিন। এটি ঘর থেকে শুরু করতে হয়। প্রধানমন্ত্রীও ঠিক তাই করেছেন।

সোমবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত চলমান রাজনীতি বিষয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ইনু।

হাসানুল হক ইনু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শুদ্ধি অভিযানকে আমরা প্রথমেই সাধুবাদ জানিয়েছে। সুশাসন গণতন্ত্রকে মজবুত করে অপরাধীদের রাজনীতির বাইরে রাখে। এ শুদ্ধি অভিযানের মাধ্যমে সেই মহৎ কার্য সম্পাদন হবে।

এসময় তিনি বিএনপি ও গণফোরামকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বাংলাদেশের দুর্নীতি নিয়ে যারা একসময় অনেক সমালোচনা করতেন তারা এখন নিরব। তাদের মধ্যে ড. কামাল অন্যতম। আবার বিএনপি শুদ্ধি অভিযানের বিরুদ্ধে অবস্থান করছে এবং এ নিয়েও সমালোচনা করছে। যারা এভাবে নিরব রয়েছে ও সমালোচনা করছে তারা শুদ্ধি অভিযানের বিরুদ্ধে অবস্থানকারী। তারা চায় না বাংলাদেশে দুর্নীতিমুক্ত হোক। তারা চায় এ সরকারের পতন হোক এবং পতনের পর সেই ঘোলা জলে তারা রাজাকার সমর্থিত একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করবে। বিএনপির হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনীতির বিষবৃক্ষ। জঘন্য খুনি ও রাজাকার ঠিকানা বিএনপিতে। এমনকি দুর্নীতিবাজদের ঠিকাদারও তারা। এসব দুর্নীতিবাজদের রাজনৈতিকভাবে হালাল করে নেয় বিএনপি।

সরকারের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জাসদ সভাপতি বলেন, সরকারের মূলত তিনটি মূল কর্মকাণ্ড রয়েছে। প্রথমত, দেশের জনগণের চাহিদা পূরণ করা। দ্বিতীয়ত, দেশের অপরাধ কর্মকাণ্ডকে আটকানো। এবং তৃতীয়ত, ভবিষ্যতের জন্য দেশকে উন্নয়ন করা। এই তিনটি কাজ পর্যায়ক্রমিকভাবে সরকার প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছে। এর বিরোধিতা করছে বিএনপি। তারা কানেও শোনে না এবং চোখেও দেখেনা। জঙ্গিদের তাণ্ডবে তারা চোখে দেখেনি, দেশের উন্নয়নের কথা তার কানে শুনতে পায় না। এসব কারণে তারা এখন ক্ষমতায় নেই এমনকি ভবিষ্যতেও থাকবে না।

বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান নিয়াজ মোহাম্মদ খানের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সদস্য আসাদুজ্জামান দুর্জয়, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, জাসদের সহ-সভাপতি মীর হোসেন আক্তার প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৯
এমএএম/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অন্যান্য দল এর সর্বশেষ