মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিইআরসি কার্যালয়ের সামনে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবি সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, প্রেসিডিয়াম সদস্য অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন, রুহিন হোসেন প্রিন্স, যুগ্ন সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হাসান তারিক চৌধুরি সোহেল, ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল হক রুবেল, বাসদ নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ, খালেকুজ্জামান লিপন, আহসান হাবিব বুলবুলসহ সিপিবি-বাসদের কেন্দ্রীয় নেতারা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, গণশুনানি নামটি শুনতে ভালো লাগে। কিন্তু দুঃখের বিষয় গণশুনানিতে জনগণের জন্য কোনো সুখবর থাকে না। এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সদস্যরা জনগণের টাকায় বেতন পেয়ে জনগণের পক্ষে কথা বলে না। গণশুনানির নামে তারা বারবার তেল-গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট কাটার পথ প্রশস্ত করে।
এই গণশুনানিকে অবৈধ উল্লেখ করে তারা বলেন, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন গণশুনানিতে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা করে অবৈধভাবে বারবার তেল-গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ায়। এবার বিদ্যুতের দাম এমন সময় বাড়ানোর চক্রান্ত হচ্ছে, যখন দ্রব্যমূল্য বাড়ার অজুহাতে জনগণের কাছ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে।
বক্তারা বলেন, রেন্টাল ও কুইক রেন্টালের নামে শত শত কোটি টাকা লুট হয়ে যায়। আমরা বামপন্থি দলগুলো বারবার বলেছি, জনগণের মালিকানায় যে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো আছে সেগুলোকে আধুনিকায়ন ও সংখ্যা বাড়ান। কিন্তু আমাদের দাবিগুলো বারবার এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন উপেক্ষা করেছে।
বিইআরসির উদ্দেশে তারা আরও বলেন, বাম দলগুলোর পক্ষ থেকে আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, এই গণশুনানির প্রহসনের মধ্য দিয়ে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি করা যাবে না। গণশুনানির পর যদি বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয় তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তোলা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৯
আরকেআর/একে