মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভারতে আন্দোলকারী ছাত্র-জনতার প্রতি সংহতি ও সিএএ-এনআরসির প্রতিবাদে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
তিনি বলেন, ভারতে যে হিন্দুত্ববাদী সরকারের শাসন চলছে সেখানে মুসলিমদের জন্য নরক।
জোনায়েদ সাকি বলেন, এ বিল সংসদে উত্থাপনের পরপরই সাধারণ ছাত্র-জনতা প্রতিবাদ করতে থাকে। ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা প্রতিবাদ করছে, অনেক রাষ্ট্র এ আইনের প্রয়োগ হতে দেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। আমরা আশঙ্কা করছি এর মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়াতে অশান্ত পরিবেশ তৈরি হবে। এরপরও আমাদের সরকার ভারতের তাবেদারি করে প্রতিবাদ করে না।
গণসংহতি আন্দোলনের নেতা বলেন, ভারতের এ আইনের ফলে সেখানকার মানুষ ইতোমধ্যে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আসতে শুরু করেছে। কিন্তু পররাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না, কাজের জন্য বাংলাদেশে এসেছে। আবার সীমান্তে হত্যাকাণ্ড হয়, আমার দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের মতো কথা বলেন। মঙ্গলবার ভারতের নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ ছাত্ররা প্রতিবাদ করেছিল। সেখানে ছাত্রলীগ হামলা করেছে। আমরা এ হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, সংগঠনটির রাজনৈতিক পরিষদ নেতা ফিরোজ আহমেদ, তাসনিমা আক্তার, উপদেষ্টা সদস্য মনির উদ্দিন পাপ্পু, কেন্দ্রীয় নেতা লেখক অরুপ রাহি, বিপ্লব রায়, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৯
ইএআর/একে