ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অন্যান্য দল

আগামীতে হাতুড়ি প্রতীকেই নির্বাচন করবো: মেনন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯
আগামীতে হাতুড়ি প্রতীকেই নির্বাচন করবো: মেনন বক্তব্য রাখছেন রাশেদ খান মেনন। ছবি: সংগৃহীত

যশোর: দল ছেড়ে যাওয়া নেতাদের সমালোচনা করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, গুটিকয়েক লোক বলছে, আমরা নাকি নৌকা প্রতীক নিয়ে হাতুড়ি আত্মসমর্পণ করেছি বুর্জোয়াদের হাতে। নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়াই করে হেরে গেলে দুঃখ তো হবেই। নৌকা প্রতীক আপনারা নেননি? নিয়েছেন। সেদিন বলেছিলাম, বাঘারপাড়ায় নৌকা প্রতীক যদি না পাই, হাতুড়ি নিয়েই লড়াই করবো। সেদিন আপনারা রাজি হননি। কারণ, নৌকা পেলে আপনাদের ভালো হয়। ওয়ার্কার্স পার্টি ১০ম কংগ্রেসে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগামী নির্বাচনে হাতুড়ি প্রতীক নিয়েই ভোট করবে।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় যশোর টাউন হল ময়দানে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির খুলনা বিভাগীয় জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মেনন বলেন, অভিযোগ করা হয়েছে, আমরা ১৪ দল করে আত্মসমর্পণ করেছি।

যদি ১৪ দল না হতো, আমার রাসেল খান জীবন না দিত, আপনারা কেন, ক্ষমতাসীনরাও এই মাঠে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিতে পারতেন না। জামায়াত, জঙ্গিবাদ, শায়খুল আযম-বাংলাভাইদের হাতে চলে যেত দেশ। আমার গরিব মানুষ, শ্রমিক, ক্ষেতমজুর কোথায় যেত? সব পাটকল, কেমিক্যাল কোম্পানি ব্যক্তি মালিকানার হাতে তুলে দেওয়া হতো। সেদিন আমরা লড়াই করেছিলাম বলেই পরিবর্তন হয়েছিল।  

দলছুট নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সারাদেশে যখন উন্নয়নের পথে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, সমতার যুদ্ধে লড়াই বিস্তৃত হচ্ছে, কৃষকের ধানের দাম, পাটকল শ্রমিকের জন্য যে লড়াই বিস্তৃত হচ্ছে, তখন আমাদের তত্ত্ব দেওয়া হচ্ছে- মতাদর্শ রক্ষা করতে হবে। এমন মতাদর্শ রক্ষা করতে হবে দলছুট হয়ে? আপসোস হয় আপনাদের কারণে। এতে ওয়ার্কার্স পার্টির কোনো ক্ষতি হয়নি।

জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তেব্যে ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, যারা যশোরে ওয়ার্কার্স পার্টির মতাদর্শ রক্ষার সম্মেলন করেছেন, তাদের সংখ্যা ৫৫ জন। তারা সারাদেশ থেকে লোকজন ডেকে এনে সম্মেলন দেখিয়েছেন। যারা এই সম্মেলন করেছেন, তাদের আদর্শের উৎস বিমল বিশ্বাস। তিনি তাদের প্রধান উপদেষ্টা। এই বিমল বিশ্বাস ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের পতাকা চিনতেন না। তিনি আর সিপিবি আজ এক হবেন, এটাই স্বাভাবিক। তাদের প্রধান প্রবণতা হচ্ছে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে তারা দেখতে পান না। সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই তারা বুঝতে পারেন না।

যশোর জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি অ্যাড. আবু বকর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন দলের পলিট ব্যুরোর সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিক, ড. সুশান্ত দাস, নূর মোহাম্মদ বকুল, সাতক্ষীরার সংসদ সদস্য মোস্তফা লুৎফুল্লা, পলিট ব্যুরোর সদস্য কামরুল হাসান, শ্রমিক নেতা ইউনুস তালুকদার, যুবমৈত্রীর সভাপতি অনুপ কুমার পিন্টু, যশোর জেলা ছাত্রমৈত্রী সভাপতি শ্যামল শর্মা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮
ইউজি/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অন্যান্য দল এর সর্বশেষ