শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর তোপখানা রোডের বিএমএ ভবনে ‘স্বাধীনতা জনগণতান্ত্রিক পূর্ব বাংলা ঘোষণা থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন রাশেদ খান মেনন।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, ধ্রুবতারার মতো সত্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধে কমিউনিস্টদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে মেনন বলেন, কিছু বামপন্থীর ভুলের জন্য স্বাধীনতার গৌরব থেকে বামপন্থীদের বাদ দেওয়া যাবে না। তাহলে যারা ছাপান্নতে ৯৮ ভাগ স্বায়ত্তশাসন অর্জিত হয়েছে বলে দাবি করেছিল, পূর্ব বাংলার ওপর সংখ্যাসাম্যের নীতি চাপিয়ে দিয়েছিল ইতিহাসে তাদের স্থান কোথায়? বাংলাদেশের স্বাধীনতা জনগণের ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে। এ গৌরব সবারই।
স্বাধীনতা অর্জত হয়েছে, কিন্তু এর সুফল এখনও সেভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি উল্লেখ করে ওয়ার্কাস পার্টির নেতা বলেন, স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে, কিন্তু জনগণতন্ত্র দূরে থাক, একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যায়নি। তাই বলে জনগণতন্ত্রের স্বপ্ন, সমাজতন্ত্রের স্বপ্ন মিথ্যা হয়ে যায়নি। আজ না হোক ভবিষ্যতে স্বাধীন জনগণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়বোই। ৫০ বছরে এটাই হোক আমাদের প্রতিজ্ঞা।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। সভা পরিচালনা করেন পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ও ঢাকা মহানগর সভাপতি আবুল হোসাইন।
সভায় অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন- পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের (মেনন গ্রুপ) তৎকালীন সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দার, শামসুল হুদা, অধ্যাপক মেজবাহ কামাল প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২০
আরকেআর/এইচজে