ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অন্যান্য দল

পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি ন্যাপ ও লেবার পার্টির

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১০ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২০
পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি ন্যাপ ও লেবার পার্টির .

ঢাকা: সরকার কর্তৃক রাষ্ট্রায়াত্ত পাটকল বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্তে বিস্ময় ও উদ্বেগ প্রকাশ করে সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাপ ও বাংলাদেশ লেবার পার্টি। 

মঙ্গলবার (৩০ জুন) গণমাধ্যমে প্রেরিত পৃথক বিবৃতিতে ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া এবং বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব লায়ন ফারুক রহমান এসব কথা বলেন।

এ ব্যাপারে ন্যাপ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, পাটকল বন্ধ করে কিংবা পিপিপি ভিত্তিতে পুনরায় চালু করে সমস্যার সমাধান হবে না।

বরং পাটকলগুলোকে লাভবান করতে পরিচালনা কেন্দ্র বিজেএমসির মাথাভারী প্রশাসন, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের ছাঁটাই, পাটক্রয়ে দুর্নীতি ও অনিয়ম দূর করতে হবে।

তারা বলেন, পাটকল বন্ধ করা বিগত সরকার তথা ৪ দলীয় জোট সরকারের নীতিমালারই অনুকরণ মাত্র। পাটকল পরিচালনা কেন্দ্র বিজেএমসির মাথাভারী প্রশাসন, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা যারা পাটক্রয়ে দুর্নীতি, অনিয়ম করেছেন, যারা মৌসুমে পাট সরবরাহ করেননি, যারা উৎপাদিত পাটপণ্য বিপণনে কোনো ভূমিকা রাখেননি, যাদের কারণে ঐতিহ্যবাহী পাটশিল্প লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হলো তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে পাটকল বন্ধ করে কথিত গোল্ডেন হ্যান্ডশেক দ্বারা শ্রমিকদের বিদায় করা অমূলক।

নেতৃদ্বয় বলেন, বাংলাদেশের অভ্যুদয়, সংগ্রামের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে পাট চাষ, পাটশিল্প এবং পাটজাত দ্রব্য ওতপ্রোতভাবে যুক্ত। ৫০ লাখ পাট চাষি, পাট শ্রমিক, পাট ব্যবসায়ীসহ প্রায় ৩ কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পাটশিল্পের সঙ্গে যুক্ত। এ অবস্থায় পাটকল বন্ধ করার আজগুবি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে পাটকলের পুরোনো যন্ত্রাংশ বাতিল করে উন্নত প্রযুক্তির আধুনিক যন্ত্রাংশ সংযোজন করে পাটকলগুলোকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর ও চালু রাখা প্রয়োজন।

লেবার পার্টির নেতৃবৃন্দ বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট ও লাগামহীন দুর্নীতি বন্ধ না করে সরকার জীবন ও জীবিকা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। করোনা দুর্যোগে বেসরকারি পোষাক কারখানাসহ কারখানা মালিক ব্যবসায়ীরা ১ লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। আর রাষ্ট্রীয় কারখানায় প্রণোদনা না দিয়ে বন্ধ করা হচ্ছে।

তারা বলেন, বিশ্বব্যাপী যখন পাটজাত দ্রব্যের চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে তখন দেশের রাষ্ট্রীয় পাটকল বন্ধ করা অযৌক্তিক-অন্যায়। দেশে এখন সরকারি-বেসরকারি মিলে প্রায় ৩০৫টি পাটকল আছে, এর মধ্যে ২৮১টি বেসরকারি। ৫৬টির মতো বন্ধ রয়েছে। রাষ্ট্রীয় পাটকলে ২৫ হাজার স্থায়ী শ্রমিক আরও ২৫ হাজার বদলি শ্রমিক মিলে ৫০/৫৫ হাজার শ্রমিক অথচ এই অল্প সংখ্যক পাটকল ও শ্রমিক পরিচালনায় রয়েছে ৩ হাজার ৮০০ কর্মকর্তার ভারী প্রশাসন। সরকারের দুর্নীতি, লুটপাট, ভুলনীতি ও মাথাভারী-অদক্ষ প্রশাসন লোকসানের জন্য দায়ী। এজন্য শ্রমিকরা দায়ী নয়। তাই অবিলম্বে রাষ্ট্রীয় পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২০
এমএইচ/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অন্যান্য দল এর সর্বশেষ