গত ৩০ জানুয়ারি (সোমবার) বইমেলা উপলক্ষে বাংলা একাডেমির সংবাদ সম্মেলনে ‘নিরাপদ’ ইভেন্ট ম্যনেজমেন্ট ফার্মের পক্ষ থেকে এমনটাই জানিয়েছিলেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) চেয়ারম্যান চলচ্চিত্র অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন।
তবে মেলার দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার মেলা ঘুরে ফুল, জল বা ঘাস কিছুই চোখে পড়েনি।
এবারের একুশে গ্রন্ধমেলার আয়োজনের কাজটি পেয়েছে ‘নিরাপদ ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্ম’। অবশ্য বাংলা একাডেমির সংবাদ সম্মেলনে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেছিলেন, ‘এটা আমার ছেলের প্রতিষ্ঠান। আমি প্রতিনিধিত্ব করছি। ’
ইলিয়াস কাঞ্চন সেদিন জানান, এবারের মেলায় ঘাস এবং ফুল থাকবে। দৃষ্টিনন্দন বাগান গড়ে তোলা হয়েছে। এছাড়াও পাঠকরা যেন বসে বিশ্রাম নিতে পারেন সেই ব্যবস্থাও রয়েছে। রয়েছে দৃষ্টিনন্দন ফোয়ারা।
এছাড়া ধুলো যেন না ওড়ে সেজন্য নিয়মিত পানি ছিটানোর কথাও দিয়েছিলেন তিনি। অথচ দুদিন না যেতেই পুরো বইমেলা ঘুরে কথা আর বাস্তবতার অনেক ফারাক দেখা যায়।
মেলার ভেতরে এখনো ইটের সিলিং বসানোর কাজ শেষ হয়নি। যেটুকু বসানো হয়েছে সেখানেও অনেক জায়গা থেকে ইট সরে গেছে। নতুন ঘাসতো দূরের কথা, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের যে স্থানে আগে যেটুকু ঘাস ছিল সেটুকুও এখন আর নেই। উল্টো ধুলোবালির কারণে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্টই হচ্ছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের।
মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অংশে মাঝামাঝি স্থানে পুলিশের ওয়াচ টাওয়ার-২ এর পাশেই একটি ফোয়ারার নির্মাণ কাজ চলছে বোঝা যায়। তবে বৃহস্পতিবার বিকেলে কাউকে সেখানে কাজ করতে দেখা যায়নি। নির্মিয়মান ফোয়ারায় সিমেন্টের ঢালাই দেওয়া হয়েছে এবং মাঝখানে একটি স্টিলের স্থাপত্য রয়েছে।
একটি প্রকাশনীর বিক্রেতা শাহেদ খান বাংলানিউজকে বলেন, আজ দর্শনার্থী কম। তবে এখনই স্টলে যে ধুলো জমেছে, কাল সেটা ভয়ংকর হবে তা অনুমান করা যায়। এর আগে শুনেছিলাম, মেলায় ঘাস থাকবে, ধুলো হবে কম। কিছুক্ষণ পরপর পানি ছেটানো হবে, যাতে ধুলো না ওড়ে। কিন্তু এখন মাস্ক পরে ঘুরতে হচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, এবার মেলায় অনেক ধুলো। অথচ আগে শুনেছিলাম মেলায় নাকি ফুলের বাগানও থাকবে। এখনো কোথাও ফুলের বাগান, কোনো চিহ্নও দেখলাম না। ২৮ দিনের মেলার দুই দিন চলে গেলো, দেখা যাবে অব্যবস্থাপনা আরও বাড়বে। ’
এ বিষয়ে জানতে বিকেলে চেষ্টা করলেও ইলিয়াস কাঞ্চনকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৭
এমএন/জেপি/জিপি/জেডএম