ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

মানুষ আর অগ্নিসন্ত্রাস-জঙ্গি বিশ্বাস করে না: ফখরুল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০২২
মানুষ আর অগ্নিসন্ত্রাস-জঙ্গি বিশ্বাস করে না: ফখরুল ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিরোধী দলের আন্দোলন শুরু হলেই আওয়ামী লীগ মনে করে দুটি ধুয়া তুলতে হবে। একটি অগ্নিসন্ত্রাস আরেকটি জঙ্গি।

দুটোই কিন্তু এখন মাটি হয়ে গেছে। মানুষ আর বিশ্বাস করে না।

রোববার (৪ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিরোধী দলের আন্দোলন শুরু হলেই আওয়ামী লীগ মনে করে দুটি ধুয়া তুলতে হবে। একটি অগ্নিসন্ত্রাস আরেকটি জঙ্গি। দুটোই কিন্তু এখন মাটি হয়ে গেছে। মানুষ আর বিশ্বাস করে না। বাংলাদেশে জঙ্গি বিষয়টা আর কোনোভাবেই বিশ্বাসযোগ্য নয়। একইসঙ্গে অগ্নিসন্ত্রাসের বিষয়টিও বিশ্বাসযোগ্য নয়।  

তিনি বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা সমাবেশই বিএনপির শেষ বিভাগীয় সমাবেশ। পরে আমরা সব দল মিলে ভবিষ্যৎ কর্মসূচি সামনে নিয়ে আসবো।

তিনি আরও বলেন, এই আন্দোলন বিএনপির একার নয়। এটি এখন জনগণের আন্দোলনের রূপান্তর হয়েছে। মানুষ যেভাবে উঠে দাঁড়িয়েছে, যেভাবে কথা বলছে, রাস্তায় নেমে আসছে তাতে করে আশাবাদী হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের জীবন সায়াহ্নে এসে বলা যেতে পারে, আমরা আবার আশার আলো দেখতে পাচ্ছি।

আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের জাতির মুক্তি সম্ভব হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, মানুষের মুখের ভাষা, তাদের আগ্রহ, নিষ্ঠা এগুলো দেখলেই বোঝা যায় মানুষ এখন পরিবর্তন চায়। সেই পরিবর্তন হচ্ছে সত্যিকার অর্থে একটা কল্যাণকর রাষ্ট্র মানুষ দেখতে চায়। আমরা মানুষের চাওয়া-পাওয়া পূরণ করে সত্যিকারের একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র উপহার দিতে চাই।

স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া তৈরি হয়নি উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এটা কি করে সম্ভব যে আমরা ৫০ বছর ধরে স্বাধীন আছি। অনেক উন্নয়ন করছি, মেগা উন্নয়ন হচ্ছে। চারদিকে সিঙ্গাপুর আর মালেশিয়া হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মাধ্যমে যে নির্বাচন হবে সেই ব্যবস্থাটাই আমরা করতে পারি নাই। প্রতিবার নির্বাচনের আগে একটা সংঘাত তৈরি হয়ে যায়। এই সংঘাতের কারণ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করার সিদ্ধান্ত।

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ পুরোপুরিভাবে জনবিচ্ছিন্ন। তারা রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। তারা এখন আমলা আর গোয়েন্দার ওপর নির্ভরশীল।

কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) সৈয়দ ইব্রাহিম এই সভার সভাপতিত্ব করেন। অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফারহাদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান ইরান বক্তৃতা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২২
টিএ/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।