ঢাকা: জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভেদ নেই। জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছে।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বনানীস্থ কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির সম্পাদকমণ্ডলী, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের নেতা এবং বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে এক যৌথ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সভাপতির বক্তব্যে জাপা মহাসচিব বলেন, জাতীয় পার্টির বাইরের কারো কথায় বিভ্রান্ত হবেন না। যারা পার্টির কেউ না, তাদের কথায় বিভ্রান্ত হবার যুক্তি নেই। কাউন্সিলের মাধ্যমে জি এম কাদের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হয়েছেন। জি এম কাদের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান থাকতে পারবেন না এমন কোনো কথা আদালতের নির্দেশনায় নেই। তাই কাউকে জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণার বাস্তবতা নেই।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ আর আওয়ামী লীগ বা বিএনপিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায় না। দেশের মানুষ মনে করে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রাষ্ট্র পরিচালনায় বেশি গণতন্ত্র ভোগ করেছে। সাধারণ মানুষ মনে করে আওয়ামী লীগ বা বিএনপি নয়, জাতীয় পার্টিই দেশে গণতন্ত্রের প্রকৃত স্বাদ ফিরিয়ে দিতে পারবে। তাই আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ কারণে দলকে আরো শক্তিশালী করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় আরো বক্তব্য দেন- জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক নির্মল চন্দ্র দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহফিজুর রহমান বাবুল, মাখন সরকার, যুবসংহতির সদস্য সচিব আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন, মহিলা পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমা আখতার, স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. বেলাল হোসেন, ওলামা পার্টির সদস্য সচিব এস এম আল জুবায়ের, সাংস্কৃতিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আহমেদ, জাতীয় তরুণ পার্টির আহ্বায়ক জাকির হোসেন মৃধা, জাতীয় শ্রমিক পার্টির সভাপতি এ কে এম আশরাফুজ্জামান খান, জাতীয় আইনজীবী ফেডারেশনের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট লাকী বেগম, জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি মো. আল মামুন, জাতীয় মৎস্যজীবী পার্টির সভাপতি আজহারুল ইসলাম সরকার, জাতীয় মোটর শ্রমিক পার্টির আহ্বায়ক মেহেদী হাসান শিপন, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পার্টির আহ্বায়ক মো. জহিরুল ইসলাম মিন্টু, সমবায় বিষয়ক সম্পাদক শংকর পালন, যুব বিষয়ক সম্পাদক মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিরু, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম বাছেদ, প্রাদেশিক বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদত আলম খশু, যুগ্ম সাংগঠনিক আলাউদ্দিন মৃধা, এম এ সুবহান, আক্তার হোসেন দেওয়ান, সুজন দে, আবু সাদেক সরদার বাদল, বাহাদুর ইসলাম ইমতিয়াজ, এম এ সালাউদ্দিন, যুগ্ম প্রচার সম্পাদক শেখ মাসুক রহমান, যুগ্ম ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ফয়সাল দিদার দীপু, যুগ্ম আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রশীদ।
উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল আলম রুবেল, মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, উপদেষ্টা হেনা খান পন্নি, নাজনীন সুলতানা, মনির আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর রহমান আদেল, এস এম শাহরিয়ার আসিফ, মো. জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, সালাউদ্দিন আহমেদ মুক্তি, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ ভাসানী, ফখরুল আহসান শাহজাদা, মো. আমির হোসেন ভূঁইয়া, সালাউদ্দিন খোকা মোল্লা, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, আশিক আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিন, শাহজাহান মানসুর, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. এনাম জয়নাল আবেদীন, আনোয়ার হোসেন তোতা, মো. ফারুক, মো. মোস্তফা কামাল ফারুক, আনিসুর রহমান খোকন, কাজী আবুল খায়ের, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আজগর, সুমন আশরাফ, জয়নাল আবেদীন, প্রচার সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুম, দফতর সম্পাদক সুলতান মাহুমদ, দফতর সম্পাদক-২ এম এ রাজ্জাক খান, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ, এনজিও বিষয়ক সম্পাদক হাফিজ উদ্দিন মাস্টার, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক জামাল উদ্দিন, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মামুনুর রহিম, নজরুল ইসলাম, মো. জাকির হোসেন মিলন, অ্যাডভোকেট সেরনিয়াবাদ সেকেন্দার আলী, রহিমা আখতার, এস এম রহমান পারভেজ, যুগ্ম সম্পাদক মাহমুদ আলম, সমরেশ মণ্ডল মানিক, দ্বীন ইসলাম শেখ, ইব্রাহিম আজাদ।
অঙ্গ সংগঠনের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ওলামা পার্টির আহ্বায়ক এরফান বীন তোরাব আলী, জাতীয় ছাত্র সমজের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম খান, মোটর শ্রমিক পার্টির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, হকার্স পার্টির সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২২
এসএমএকে/আরবি