ঢাকা: ‘আমরা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে এগিয়ে যাচ্ছি। আজকে পদ্মাসেতু চালু হয়েছে, মেট্রোরেল ও কর্ণফুলী টানেল চালু হবে।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) মেট্রোরেলের উদ্বোধন উপলক্ষে উত্তরার দিয়াবাড়িতে এক প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, বিএনপি নাকি উন্নয়নের হিসাব পায় না, আপনারা বলেন, আপনাদের জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিল তখনকার একটি উন্নয়ন দেখান, যা আপনারা করেছেন তার একটি দৃষ্টান্ত দেখাতে পারবেন না।
নানক বলেন, আমরা একটি আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠানের অপেক্ষায় আজকে এখানে সমবেত হয়েছি। মেট্রোরেলের উদ্বোধন করার যে পদ্ধতি ছিল। আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন শুধু অল্প কয়েকজন ভিআইপি মেহমান নিয়ে আমি মেট্রোরেল চালু করবো না। আমি যাব এবং আমি জনগণের সামনে কথা বলবো। তাই তিনি আসছেন আগামী ২৮ ডিসেম্বর। এই জনসভা সফল করার জন্য আপনারা এক লাখ মানুষের সমাবেশের কথা বলেছেন। আমি বলেছি এখানে লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ হবে। আমি বিশ্বাস করি। আগামী ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের উদ্বোধন উপলক্ষে সে সমাবেশ হবে। আপনাদের সবাইকেই ভোরে উঠেই এখানে এসে জমায়েত হতে হবে।
বিএনপির ২৭ দফার সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপি নাকি রাষ্ট্র মেরামত করতে চায়, রাষ্ট্রকে তো ধ্বংস করে দিয়েছিলেন আপনারা। এখন বলেন রাষ্ট্রকে মেরামত করতে হবে। আর লন্ডনে বসে দণ্ডপ্রাপ্ত তারেক বলে, বাংলাদেশকে টেক ব্যাক করতে হবে। কোন টেক ব্যাক করবেন? আবার জঙ্গি, সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বানাবে? আমরা বেঁচে থাকতে তা হবে না।
তিনি আরও বলেন, আপনারা বলেন সরকার দুইবারের বেশি তিনবার থাকতে পারবে না, এটা আপনাদের দলের ভেতর করে দেখান, আপনারা পারবেন না। আপনারা আপনাদের গঠনতন্ত্র নিজেরাই মানেন না, দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরে আপনারা সভাপতি বানিয়েছেন।
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বলেন, আমি এই অঞ্চলের মানুষ মিলে গতকাল মিটিং করেছি। আমরা চাই এক লাখ মানুষ এখানে জমায়েত হবে। আমরা সকালে পারি, দুপুরে পারি, রাতে পারি।
বিএনপির সমালোচনা করে নানক বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির নেতাকর্মীরা অনেক লাফালাফি করেছেন। তাদের সমাবেশে গরুর হাটে ১০ হাজার মানুষ হয়েছে।
প্রতিনিধি সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এবং আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন।
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি। বিশেষ বক্তা ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ হাবিব হাসান।
সভায় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২২
এএটি
