ঢাকা, শনিবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ মে ২০২৪, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

ঐক্যের মাধ্যমে আন্দোলনে সরকারের বিদায় হবে: টুকু

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০২৩
ঐক্যের মাধ্যমে আন্দোলনে সরকারের বিদায় হবে: টুকু

ঢাকা: আমাদের ঐক্যের মাধ্যমে যে আন্দোলন গড়ে উঠবে তাতে এ সরকারের বিদায় নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।  

শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কাউন্সিলে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

টুকু বলেন, আগামীতে আমরা যুগপৎভাবে যে অবস্থান কর্মসূচি পালন করব সেটা হবে ঐতিহাসিক প্রতিবাদ। সবাইকে আহ্বান করছি অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এ সরকারকে বুঝিয়ে দিন তাদের সঙ্গে মানুষ নেই। মনে করি জনগণ অবশ্যই এ সরকারকে বিদায় করবে। জনগণের কাছে ইয়াহিয়া খান টেকতে পারেনি, আইয়ুব খান টেকেনি, এরশাদ টেকেনি এ সরকারও টিকতে পারবে না।

তিনি বলেন, আজকে গণতন্ত্র বিলীন হয়ে গেছে, গণতন্ত্র এখন আর নেই। এখন এক গণতন্ত্র, উনি যা ইচ্ছে করেন সেটাই হয়। তাছাড়া আর কারো ইচ্ছায় চলে না। তাই আমরা একত্রিত হয়ে যুগপৎ আন্দোলন করছি, একজনের ইচ্ছা থেকে বেরিয়ে বহুজনের ইচ্ছের দাম দেওয়ার জন্য।

মঞ্চ বানাতেও চুরি উল্লেখ করে টুকু বলেন, সর্বত্র দুর্নীতি চলছে, আজ আমি একটু অবাক হলাম যে, মঞ্চ বানাতেও লুটপাট হয় এ দলে। আবার মঞ্চে দাঁড়িয়ে এ দলের সাধারণ সম্পাদক পড়ে যান। কারণ তো ওখানেও চুরি হয়েছে। ঠিক মতো মঞ্চ তৈরি হয়নি। এখন ওদের ছাত্র সংগঠনের মধ্যেও… যদিও ওদের ছাত্র সংগঠনের একজন জেলা নেতার কাছে দুই হাজার কোটি টাকা পাওয়া যায়। এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে লুটপাট হয় না এবং সেই লুটের টাকা আবার বিদেশে পাচার হয়ে যায়।

সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, আমরা ১০টি বিভাগীয় সমাবেশ করেছি, সেখানে নানা রকমের বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে মানুষ কয়েকদিন আগেই উপস্থিত হয়েছেন। এমনকি চাল-ডাল মুড়ি-চিড়া নিয়ে সমাবেশস্থলে এসেছেন। এর অর্থ কী? এর অর্থ হচ্ছে জনগণ এ সরকারকে আর চায় না। সুতরাং আমরা যদি ঐক্য করতে পারি, আমাদের ঐক্যের মাধ্যমে যে আন্দোলন গড়ে উঠবে তাতে এ সরকারের বিদায় নিতে হবে।

বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে ও কংগ্রেস প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব আকবর খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির (মাক্সবাদী-লেলিনবাদী লিবারেশন) পলিটব্যুরোর সদস্য কার্তিক পাল, জাতীয়  সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব, জাতীয় গণফ্রন্টের সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২২
এমএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।