ঢাকা: দেশের ‘দুরবস্থার’ জন্য সরকারে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল বিএনপিকে দায়ী করেছেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু। তার দাবি, দেশের মানুষ ভালো নেই।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে বনানীর কার্যালয়ে জাতীয় পার্টি নেতা মো. খলিলুর রহমান খলিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে তিনি দল দুটিকে দোষারোপ করেন।
চুন্নু বলেন, ১৯৯০ সালে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতা হস্তান্তরের পর দুটি দল বারবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়ে দেশের গণতন্ত্র, সুশাসন আর অধিকার ভূলুণ্ঠিত করেছে। মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির হাত থেকে মুক্তি চায়। তারা আর আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায় না। পল্লীবন্ধুর উন্নয়ন ও সুশাসনের রাজনীতি ফিরে পেতে চায়। দেশের মানুষ জাতীয় পার্টিকেই রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়। তাই, জাতীয় পার্টিকে আরও শক্তিশালী করতে নেতা-কর্মীদের একত্রিত হরে আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানটি মূলত ছিল নতুন নেতাকর্মীদের যোগদানের। এতে মহাসচিবের হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় পার্টিতে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার সমাজসেবক মো. মাশরেকুল আজম রবি (লিটন), মো. হাসান মিয়া, প্রকৌশলী শিষ ইবনে আজম এবং ছাত্র নেতা মো. মুসা ইবনে আজম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, জহরিুল ইসলাম জহির, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. নুরুল আজহার শামীম, হারুন অর রশীদ, এমএ কুদ্দুস খান, ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান, মো. জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন খান, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিরু, যুগ্ম সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আজহারুল ইসলাম সরকার, নজরুল ইসলাম, মাহমুদ আলম, সমরেশ মণ্ডল মানিক, কেন্দ্রীয় সদস্য শেখ মুহাম্মদ আবু ওহাব, নুরুজ্জামান লিটন, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম খান, ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফ খান, পার্টি নেতা ইঞ্জিনিয়ার তোফাজ্জল, রেজাউল ইসলাম।
যোগদানকারীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাসির উদ্দিন জমাদ্দার, মিজানুর রহমান দুলাল, সাব্বির মৃধা, নূর মোহাম্মদ নুরু, মিরাজ শরীফ, আফসার উদ্দিন দীপু, মিরাজুল ইসলাম ফরাজী, কামাল হোসেন, মো. শাহ আলম, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. বিল্লাল সরদার, মো. লিটন, মো. শহীদুল ইসলাম, মো. জিয়াউর রহমান, মো. কামাল হোসেন, সেলিম ঘরামি, মো. শাহীন, মো. মামুন পঞ্চায়েত, মো. মনির, মো. রেজাউল, মো. সাইদুর, মো. শফিকুল ইসলাম, আব্দুল হক, মো. আল আমিন, মো. আলামিন হোসেন ও মো. মিরাজ হোসাইন চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২৩
এসএমএকে/এমজে