ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

রাষ্ট্র এবং সরকারকে গুলিয়ে ফেলেছে আ. লীগ: আলাল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৩
রাষ্ট্র এবং সরকারকে গুলিয়ে ফেলেছে আ. লীগ: আলাল

নারায়ণগঞ্জ: আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, গ্যাস বিদ্যুৎ পানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর একাংশের বাড়াবাড়ির প্রতিবাদে ও রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ ঘোষণা করেছে বিএনপি।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ১০ দফা দাবিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, অতি উৎসাহী হয়ে কেউ আওয়ামী পুলিশ লীগ, আওয়ামী ডিবি লীগ হবেন না। দেশের পরিচয়ে নিজেদের পরিচিত করুন। আজকে অনেকে বলেন গণতন্ত্র হত্যা দিবস। আমি বলি এটা রাজতন্ত্র কায়েম দিবস। বাকশালে এক ব্যক্তির ওপর সব ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। এই আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতাও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তার অনুমতিতেই মৃত আওয়ামী লীগকে জীবিত করতে পেরেছিল। সেই হিসেবেও তো তিনি সম্মান পেতে পারেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তো জিয়াউর রহমানকে সম্মান করেন না, তার চেলা চামুণ্ডারাও তাকে অসম্মান করে।  

তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি পদে অনেকের নাম শুনছি৷ সেখানে একটি নাম উল্লেখযোগ্য। বাকশালের পক্ষে যার ঘাড়ে বন্দুক রেখে তত্বাবধায়ক সরকার আইন বাতিল করেছিলেন সেই বিচারপতি নাকি রাষ্টপতি হবে। আমরা এটা মানবো না।  

রাষ্ট্র চিরন্তন বস্তু। সেই রাষ্ট্র এবং সরকারকে আজ আপনারা গুলিয়ে ফেলেছেন। আপনারা খেলার কথা বলেন। আমরা মাঠে খেলতে গিয়ে দেখি প্লেয়ার পুলিশ ডিবি। এত খেলা খেলতে চান। এখন আপনারা ছক্কায় পোক্কা হয়ে গেছেন। লুডু খেলার একটা বৈশিষ্ট্য আছে। ছয় একবার উঠলে আবার মারতে হয়। আওয়ামী লীগ তিন ছয় মেরে ফেলেছে। তিন ছক্কায় তারা পোক্কা হয়ে গেছে।  

তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের অনেক বড় বড় কথা বলেন। আরে আপনার দলের লোকেরাই তো আপনার কথা শোনে না। মাঝে মাঝে মঞ্চ থেকে নেমে যান। আপনার আপন ভাই বলেছে ওবায়দুল কাদেরকে এ মাটিতে পা রাখতে দেব না। আর মাতব্বরি করতে আসবেন না। আপনাদের দিন শেষ।  

আমাদের সমস্ত নেতাকর্মীরা যখন কারাগারে তখন আপনাদের পুলিশ বাহিনী নিয়ে মাঠে নামতে হয়েছে। এর থেকে আপনারা আর উঠতে পারবেন না। আমরা বলেছিলাম ইভিএম মানি না। আজ তারাও সেটা মানতে বাধ্য হয়েছেন।  

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, দলের নির্বাহী কমিটির একাধিক সদস্যসহ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৩
এমআরপি/এসআইএস   

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।