ঢাকা: বিএনপির ছিল ‘নিরব কর্মসূচির’ সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, মানুষের মনের জোর যখন কমে যায়, তখন গলার জোর বাড়ে।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ‘বিএনপি জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য ও অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের’ বিরুদ্ধে শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল বলেন আমাদের নাকি পায়ের তলায় মাটি নাই। পায়ের তলায় মাটি কার আছে, কার নাই দেখা যাবে নির্বাচনে। দিনে দিনে বহু বাড়িয়াছে দেনা, এবার শুধিতে হইবে ঋণ। ধীরে, ফখরুল সাহেব, ধীরে চলুন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ডোনাল্ড লু ঢাকা এসে ঘুরে গেছেন। বিএনপি আশা করেছিল, তাদের সঙ্গে একটা বৈঠক করবে। সরকারকে চাপ দেবেন। নিষেধাজ্ঞার জন্য বসেছিলেন, নিষেধাজ্ঞা এলো না। হতাশায় ধুঁকতে-ধুঁকতে ফখরুল-আব্বাস হসপিটালে। মনে আছে? সোহরাওয়ার্দীতে না গিয়ে গোলাপবাগ গরুর মাঠে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, আজকে এই সমাবেশ হলো শান্তির সমাবেশ। এই সমাবেশ করতে গিয়ে মনে পড়ে যায় ২০০৪ সালের কথা। ঠিক এই জায়গাতেই গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। বিএনপি বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি অপশক্তি। বাংলাদেশে গণতন্ত্র এরা বিশ্বাস করে না। এরা এখন আন্দোলন আন্দোলন খেলা শুরু করেছে। আন্দোলন আন্দোলন খেলা ১০ ডিসেম্বরেই শেষ হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, ফখরুল অভিযোগ করেছে, সরকার নাকি জোট ভাঙার চেষ্টা করছে। ঢাল নেই, তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার। ওই পীপিলিকাদের নিয়ে গড়া জোট ভাঙার দরকার আওয়ামী লীগের দরকার নেই। আপনাদের দলের লোকেরাই জোট ভাঙবে।
জাতীয় সংসদের উপনেতা ও সংসদ সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন একের পর এক সাফল্যের মাইলস্টোন অর্জন করছে, তখন বিএনপি জামাত অপপ্রচারে লিপ্ত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্দীপ্ত কণ্ঠে বলেছেন, কেউ গৃহহীন থাকবে না। সবার মাথার উপর ছাদ থাকবে। শেখ হাসিনা যেভাবে মাথা গোঁজার ঠাঁই দিয়েছেন, অতীতে কেউ এভাবে দেয় নাই। দেওয়ার চেষ্টাও করে নাই। বঙ্গবন্ধু শুরু করেছিলেন, কিন্তু তাকে সু্যোগ দেওয়া হয় নাই।
সমাবেশে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী সভাপতিত্ব করেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবীরের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
সমাবেশে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৩
এমকে/এসএ