ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘নির্বাচনী পরিস্থিতি উন্নয়নে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩
‘নির্বাচনী পরিস্থিতি উন্নয়নে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে’

ঢাকা: জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। নির্বাচনী পরিস্থিতি উন্নয়নে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে।

সরকার চাইলে আমরা দলীয় ফোরামে আলোচনা করে জাপার পক্ষ থেকে প্রস্তাবনা দেব।  

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বনানী কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে জাপা চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।  

জি এম কাদের বলেন, আমরা আদালতের ওপর শ্রদ্ধাশীল। আদালতের সব নির্দেশনা মেনেই চলেছি।  

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংবিধানের কয়েকটি ধারার কারণেই বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতায় ঘাটতি আছে। ওই ধারার কারণে বিচার বিভাগ কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তবে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় শুধু জাপার নেতাকর্মীই নয়, দেশের সাধারণ মানুষও খুশি হয়েছে।  

জি এম কাদের বলেন, মামলার কারণে স্বাভাবিক রাজনীতিতে কিছুটা বাধা এসেছে কিন্তু আমরা আদালতের সব নির্দেশনা শ্রদ্ধার সঙ্গে ইতিবাচকভাবেই নিচ্ছি।  

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দীর্ঘ সময় রাষ্ট্র ক্ষমতায় থেকে জানগণের আস্থা হারিয়েছে। আবার বিএনপিকেও দেশের সাধারণ মানুষ পছন্দ করে না। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে একটি তৃতীয় শক্তি প্রত্যাশা করছে। জাতীয় পার্টি সেই তৃতীয় শক্তি হিসেবে নির্বাচনে আবির্ভূত হতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।  

জি এম কাদের বলেন, দেশ থেকে দুর্নীতি, দুঃশাসন, দলবাজি, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য দূর করতেই আমরা রাজনীতি করছি। দেশের মানুষ মনে করছেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির চেয়ে জাতীয় পার্টি দেশ পরিচালনায় অনেক বেশি সফলতা অর্জন করেছে। তাই দেশের মানুষ জাপাকে বিকল্প শক্তি হিসেবে দেখতে চায়।  

এর আগে গাজীপুর জেলা জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম এমপি, সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার মিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মধু, মো. জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন তোতা, দফতর সম্পাদক-২ এমএ রাজ্জাক খান, কেন্দ্রীয় নেতা ফারুখ শেঠ, মখলেছুর রহমান বস্তু, গাজীপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান মণ্ডল, জাতীয় পার্টির নেতা খলিলুর রহমান খলিল, আবু সালেহ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২৩
এসএমএকে/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।