ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

বাগেরহাটে শিবিরের সাবেক সভাপতিসহ আটক ৫

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৩
বাগেরহাটে শিবিরের সাবেক সভাপতিসহ আটক ৫

বাগেরহাট: বাগেরহাটে ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি আরিফ বিল্লাহ ও তার বাবাসহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।  

সোমবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাগেরহাট সদর উপজেলার সৈয়দপুর এলাকা থেকে এদের আটক করা হয়।

 

পরবর্তীতে মঙ্গলবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) পৃথক দুই মামলা দিয়ে আটকদের আদালতে সোপর্দ করে বাগেরহাট মডেল থানা পুলিশ।

বাগেরহাট জেলা পুলিশের দাবি, চুলকাঠি তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ নাশকতা পরিকল্পনার খবর পেয়ে ওই এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় পুলিশ ১টি আগ্নেয়াস্ত্র, ১টি ম্যাগাজিন ও গুলি উদ্ধার করে। এসময় দুর্বৃত্তদের হামলায়, পাঁচ পুলিশ সদস্য এবং পুলিশকে সহায়তাকারী স্থানীয় এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

আটকরা হলেন- ইসলামী ছাত্র শিবিরের বাগেরহাট জেলা শাখার সাবেক সভাপতি সৈয়দপুর গ্রামের আরিফ বিল্লাহ, তার বাবা ফারুক শেখ, মৃত মুজিবুর হাওলাদারের ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী হাসান হাওলাদার, রসুলপুর গ্রামের বেল্লাল ফকির, অ্যাকুরিয়াম ব্যবসায়ী বাবু।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সোমবার বিকেলে আরিফ বিল্লাহ ও তার ভাই সোয়াইব ইসলাম বাড়ির পাশে ধান রোপণ করছিলেন। এসময় পুলিশের সোর্স পরিচয়দানকারী আজমল হোসেন নামে এক ব্যক্তি এসে আরিফ বিল্লাকে জাপটে ধরে এবং মারধর শুরু করে। আরিফ বিল্লাহর ভাই ঠেকাতে গেলে তাকেও কিল ঘুষি মারে। আজমলের ঘুষিতে আরিফের ভাই সোয়াইব ইসলামের দুটো দাত ভেঙে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা আজমলের ওপর চড়াও হলে, সাদা পোশাকে চারজন পুলিশ আসেন। তারা আরিফ বিল্লাহ ও তার ভাইকে কাদা মাখা অবস্থায় ধরে নিয়ে যেতে শুরু করেন। এসময় স্থানীয়রা আরিফকে পরনের কাপড় পরিবর্তন করে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন। এতে পুলিশ সদস্যরা ক্ষেপে গেলে স্থানীয়দের সঙ্গে বাগ-বিতণ্ডা হয়। পরে আরও পুলিশ যায়, সৈয়দপুরে। একপর্যায়ে আরিফ, আরিফের বাবাসহ পাঁচজনকে আটক করে নিয়ে আসেন। একই সঙ্গে আজমল ও তার লোকজন আরিফের বাড়ি ভাঙচুর করে। কয়েক জনের মোবাইল ফোন নিয়ে আসে আজমল ও তার লোকজন।

এসএসসি পরীক্ষার্থী হাসানের মা ফাতেমা বেগম বলেন, আমার বাচ্চাটার কয়দিন পরে পরীক্ষা। ওর কি দোষ, ওকি বোঝে। ওরে ধরে নিয়ে মামলা দিল পুলিশ। আমার ছেলের জীবনটা এভাবে ধ্বংস কেন করল। কি করেছি আমরা।

এদিকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও আটকদের মুক্তির দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বাগেরহাট জেলা শাখার পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ছাত্রশিবিরের সাবেক জেলা সভাপতি আরিফ বিল্লাহ, তার বাবাসহ পাঁচজনকে আটক নিয়ে পুলিশ একটি গায়েবি মামলা সাজিয়েছেন। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। জামায়াতের জেলা আমির মাও. রেজাউল করিম ও নায়েবে আমির অ্যাড. মাও. শেখ আব্দুল ওয়াদুদের পক্ষ থেকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।

বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের প্রধান সমন্বয়কারী পুলিশ পরিদর্শক এসএম আশরাফুল ইসলাম বলেন, নাশকতার পরিকল্পনার অপরাধে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এছাড়া আজমলের বিরুদ্ধে যে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তা সঠিক নয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।