ঢাকা: আগামী বছর, অর্থাৎ ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আলমগীর। ২০২২ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর এ ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি তিনি বলেছিলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে ২০২৩ সালের নভেম্বরের পর।
সাংবিধানিক বিধিবিধানের নিরিখে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন আগামী বছর জানুয়ারিতেই হওয়ার কথা; কারণ বর্তমান সরকার ও একাদশ জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ হবে সে মাসেই। কিন্তু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মনে করেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কারণ, এমন আভাস পাচ্ছেন তিনি।
শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সঙ্গে যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতি হিসেবে যে সভায় যোগ দিয়ে নিজের অনুমানের কথা জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, একটা নির্বাচন সামনে। আমাদের পাঁচ বছর পূর্ণ হতে চলছে। নির্বাচন কমিশন আভাস অনুযায়ী হয়ত ডিসেম্বর মাসেই বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা।
এ সময় নির্বাচনকালীন গুজব নিয়েও কথা বলেন তিনি। আওয়ামী লীগ সম্পাদক বলেন, জাতীয় নির্বাচন এলেই দেখা যায় একটা শঙ্কা। নানা ধরনের গুজব ডালপালা বিস্তার করে। আজকে আমরা সুস্পষ্টভাবে নির্বাচনের দিকে অভিযাত্রা শুরু করেছি।
বিএনপির সাথে আমাদের অতীতের যে অভিজ্ঞতা আছে, তা সুখকর নয়। ২০১৩/১৪ সালে রাজনীতিতে তারা কত নিষ্কৃষ্টতম-নোংরা ভূমিকা পালন করেছে, সেটার প্রমাণ দেশের মানুষ পেয়েছে। নতুন করে দেওয়ার কিছু নাই। আমাদের স্মৃতিটা এখনও জাগে, দেশের জনগণ এতো তাড়াতাড়ি সেই দুঃস্মৃতি ভুলবে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিএনপিকে প্রথম থেকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখি। তাদের সাথে প্রতিযোগিতামূলক সম্পর্ক চেয়েছি। তাদের জন্ম থেকেই বঙ্গবন্ধু হত্যা, জাতীয় চার নেতা হত্যা, একুশে আগস্টের ঘটনা, ২০০১ সাল, সব কিছুতেই তারা আমাদেরকে বরাবরই মনে করে আসছে শত্রু পক্ষ। শত্রুপক্ষ হিসেবে তারা আমাদের সঙ্গে শত্রুতাই করে গেছে। এই শত্রুতার অপরিহার্য সঙ্গ ষড়যন্ত্র।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা (বিএনপি) গত এক বছর ধরে মাঠে এসেছে, বিশেষ করে ডিসেম্বর। তারা আন্দোলন করবে, গণঅভ্যুত্থান করবে, ১১ ডিসেম্বর থেকে বেগম জিয়ার নেতৃত্বে দেশ চলবে, তারেক রহমান গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেবে। এসব বড় বড় কথা তারা বলেছে, কিন্তু দেশবাসী লক্ষ্য করেছে, আমরা সন্ত্রাসের আশঙ্কায়, বিশেষ করে পুরনো তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে, তাদের আগুন সন্ত্রাসের আশঙ্কায় শান্তির সমাবেশ করেছি। যতক্ষণ বিএনপি আন্দোলন করবে আমরা শান্তি সমাবেশ করব।
যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম ও আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপপ্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩
এনবি/এমজে