ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

নাগরিক স্মরণসভায় তথ্যমন্ত্রী

ব্রতী রাজনীতিক পঙ্কজ ভট্টাচার্য জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে চলেছেন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৫ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২৩
ব্রতী রাজনীতিক পঙ্কজ ভট্টাচার্য জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে চলেছেন

ঢাকা: রাজনীতি একটি ব্রত সেটি অনেকে ভুলে গেলেও পঙ্কজ ভট্টাচার্য রাজনীতিকে ব্রত হিসেবেই নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, পঙ্কজ ভট্টাচার্য যা বিশ্বাস করতেন আজীবন সেটির জন্য কাজ করে গেছেন।

আপাদমস্তক অসাম্প্রদায়িক এ মানুষটি দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে পুরোধা ছিলেন। অনেক নির্যাতন সয়েছেন।  

শুক্রবার (১৯ মে) বিকেলে ঢাকায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ঐক্য ন্যাপের সভাপতি জননেতা পঙ্কজ ভট্টাচার্য নাগরিক স্মরণসভা জাতীয় কমিটি আয়োজিত শোকসভায় আওয়ামী লীগের পক্ষে যোগ দিয়ে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ কথা বলেন।  

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে সত্যিকার রাজনীতিকদের জীবনটা হাতের মুঠোয় নিয়ে চলতে হয়, কখন গ্রেনেড হামলা হয়, কখন গুলি হয়, কখন কী হয়। পঙ্কজ ভট্টাচার্য তাই করেছেন। একজন রাজনীতিবিদ কেমন হওয়া প্রয়োজন সেটি পঙ্কজ ভট্টাচার্যকে দেখলে জানা যায়। তিনি সেই উদাহরণ হয়ে আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন।  

ইতিহাসবিদ ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী, সংস্কৃতিজন রামেন্দু মজুমদার, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সভাপতি শাহ আলম, বাংলাদেশ জেএসডি সভাপতি শরীফ নূরুল আম্বিয়া, বাংলাদেশ শান্তি পরিষদ সভাপতি ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, ঐক্য ন্যাপ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট এসএমএ সবুর, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  

ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য গত ২৪ এপ্রিল মারা যান।

১৯৩৯ সালের ৬ আগস্ট চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন পঙ্কজ ভট্টাচার্য। শিক্ষাজীবন কেটেছে চট্টগ্রাম ও ঢাকায়। তিনি গত শতকের ষাটের দশকের ছাত্র আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ এবং পরবর্তী বাংলাদেশের সব আন্দোলন-সংগ্রামের প্রত্যক্ষদর্শী, একজন নেতৃস্থানীয় কর্মী ও সংগঠক। ১৯৬৬ সালে তিনি ‘স্বাধীন বাংলা ষড়যন্ত্র’ মামলায় অভিযুক্ত হয়ে কারারুদ্ধ হন।

পঙ্কজ ভট্টাচার্য মুক্তিযুদ্ধে ন্যাপ-ছাত্র ইউনিয়ন-কমিউনিস্ট পার্টি গেরিলা বাহিনীর সংগঠক ছিলেন। স্বাধীনতার পর দীর্ঘদিন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০১৩ সালে তিনি ঐক্য ন্যাপ নামে রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৪ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২৩
জিসিজি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।