ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সরকারের গণবিরোধী সিদ্ধান্ত জনজীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে: সিপিবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৪ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২৩
সরকারের গণবিরোধী সিদ্ধান্ত জনজীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে: সিপিবি

ঢাকা: সরকারের একের পর গণবিরোধী সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। এমনটি বলছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) দুপুরে সিপিবি সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রেসিডিয়াম সভায় এ কথা বলা হয়।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিবি সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শামছুজ্জামান সেলিম, শাহীন রহমান ও এ এন রাশেদা।

সভায় বলা হয়, বর্তমান সরকারের মেয়াদের প্রায় শেষ প্রান্তে। এই সময়ে একের পর এক গণবিরোধী সিদ্ধান্ত জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছে। নিপীড়ন, নির্যাতন, লুটপাটের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা গণআন্দোলন বাধাগ্রস্ত করার জন্য সরকার নানা ধরনের নিপীড়নমূলক আইন, নীতিমালা প্রণয়ন করছে।  

এতে বলা হয়, সমাজের সর্বস্তরের মানুষের প্রতিবাদের পরও তারা অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল নামক শ্রমিকের ধর্মঘটের অধিকার হরণকারী কালো আইন জাতীয় সংসদে পাস করানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত স্বৈরাচারী মনোভাবের প্রকাশ।  

সভায় বলা হয়, এভাবে আইন করে অগণতান্ত্রিকভাবে জনগণের অধিকার হরণ করা যাবে না। সভায় শ্রমিক-কর্মচারী তথা শ্রমজীবী মানুষের অধিকার হরণকারী এই বিল বাতিল ও গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রণয়নের দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়।

সভায় আরও বলা হয়, করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক সংকটকালে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ চিড়ে-চ্যাপ্টা হয়েছে। কর্মহীন ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য কর্মসংস্থান ও নানা প্রণোদনার প্রয়োজন থাকলেও তা না করে শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অথচ সার্বজনীন রেশন ব্যবস্থা ও নায্যমূল্যের দোকান চালু করা হলো না। এতে বাজারে বৈষম্য ও সংকট আরও বাড়বে। বাজার সিন্ডিকেট না ভেঙে লুটেরা ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা করা হচ্ছে।  

সভায় অবিলম্বে স্বল্প আয়ের মানুষ, শ্রমজীবী মানুষের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করার দাবি জানানো হয়। এতে ঋণখেলাপি ও ব্যাংক মালিকদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার তীব্র নিন্দা করা হয়।

ক্ষোভ প্রকাশ করে সভায় নেতারা বলেন, ডেঙ্গু প্রকোপ ভয়াবহ হচ্ছে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ। কিন্তু সেদিকে সরকারের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। বরং তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে বিদেশিদের অনুকম্পা পেতে বিদেশিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

নির্বাচনী ব্যবস্থার আমূল সংস্কার, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ, সিন্ডিকেট ভাঙা এবং দুর্নীতি-লুটপাট বন্ধের দাবি এবং চলমান দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে সভা থেকে জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।  

পাশাপাশি সাম্প্রতিককালে সাধারণ মানুষের তথ্য ফাঁসের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হয়, এই সরকারের কাছে জনগণের তথ্য নিরাপদ নয়। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তিসহ মানুষের সব তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২৩
আরকেআর/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।