ঢাকা, সোমবার, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০৮ জুলাই ২০২৪, ০০ মহররম ১৪৪৬

রাজনীতি

মাহমুদের আত্মত্যাগে আমরা ঘুরে দাঁড়ানোর প্রেরণা পাচ্ছি: রিজভী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০২৩
মাহমুদের আত্মত্যাগে আমরা ঘুরে দাঁড়ানোর প্রেরণা পাচ্ছি: রিজভী

নারায়ণগঞ্জ : ঢাকার মহাসমাবেশে অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়া মহানগর বিএনপির সদস্য মাহমুদ হোসেনের বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, তিনি (মাহমুদ) স্লোগান দিতে দিতে ঢাকার সমাবেশস্থলে গিয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। এ ধরনের নিবেদিত নেতাকর্মী ঘরে ঘরে আছে বলেই দল এখনও টিকে আছে।

তার এই আত্মত্যাগে আমরা ঘুরে দাঁড়ানোর প্রেরণা পাচ্ছি।

শনিবার (৫ আগস্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের খানপুর ব্যাংক কলোনি এলাকায় প্রয়াত মহানগর বিএনপির সদস্য মাহমুদ হোসেনের বাড়িতে এসে শোকার্ত পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রিজভী।  

সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, আমি এ শোকাবহ পরিবারকে সমবেদনা জানাতে দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহামুদের বাসায় এসেছি। তিনি গত ২৮ জুলাই বিএনপির মহাসমাবেশে অংশ নিতে গিয়ে স্লোগান দিতে দিতে গরমে হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।

বিএনপি নেতাকর্মীরা মানসিক চাপে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের প্রতিটি নেতাকর্মী যেমন শারীরিক চাপে আছেন তেমন মানসিক চাপেও আছে। বাসায় বসে থাকলেও তাদের নামে মামলা হয়। পুলিশি আক্রমণ ও হানায় তারা এতটাই মানসিকভাবে ক্লান্ত যে কখন কে পৃথিবী ছেড়ে চলে যায় ঠিক নেই।

তিনি বলেন, মাহমুদের নামে অসংখ্য মামলা। প্রতিনিয়ত তার নামে মামলা দেওয়া হচ্ছিল। তিনি দলের নিবেদিতপ্রাণ নেতা ছিলেন। কখনও দলীয় কর্মসূচি থেকে বিরত থাকতেন না।  

সাজায় বিএনপি দমে যায়নি উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আমাদের নেত্রী গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে বন্দি করে রেখেছে। যে নেতা সাড়া দেশের মানুষকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ করেছে তার বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। তার স্ত্রী স্বনামধন্য চিকিৎসক তাকেও মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। যেন তিনি দেশে ফিরতে না পারেন। তবে এগুলোতে কোনো লাভ হয়নি। কেউ কিন্তু দমে যায়নি। দেশনেত্রীর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আওয়াজ আমাদের উজ্জীবিত করে। লন্ডন থেকে দেশনায়ক তারেক রহমান দলকে সুসংগঠিত করছেন। আজ সারা দেশের জাতীয়তাবাদের নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত। আওয়ামী লীগের ও পুলিশের হামলার পরেও তারা দাঁড়িয়ে আছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য। সেই একজন নেতা মাহমুদ। তিনি শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত দলের জন্য কাজ করে গেছেন। তার এই আত্মত্যাগে আমরা ঘুরে দাঁড়ানোর প্রেরণা পাচ্ছি।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। তারপর নির্বাচন করবে বিএনপি। এর আগে কোনো নির্বাচন হবে না। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে সেটা আর নির্বাচন হবে না। সেটা হবে রাতের নির্বাচন বা অন্য কোনো নির্বাচন। পার্লামেন্ট বিলুপ্ত হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে তার অধীনেই নির্বাচন হবে।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন, মহানগর বিএনপির নেতা কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ হাসান ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের রহমান জিকু, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহেদ আহমেদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০২৩
এমআরপি/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।