ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

সাঈদীকে নিয়ে স্ট্যাটাস, লালমনিরহাটে ১৩ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী সাময়িক বহিষ্কার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২৩
সাঈদীকে নিয়ে স্ট্যাটাস, লালমনিরহাটে ১৩ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী সাময়িক বহিষ্কার

লালমনিরহাট: মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় লালমনিরহাটে ১৩ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার (১৯ আগস্ট) রাতে জেলা ছাত্রলীগের জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় জেলা ছাত্রলীগ।

 

সাময়িক বহিষ্কারকৃতরা হলেন- লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির হিরু, চলবলা ইউনিয়ন সভাপতি সাইদুর রহমান সুমন, গড্ডিমারী ইউনিয়ন সভাপতি হাসান ভুইয়া, গোতামারী ইউনিয়ন যুগ্ম সম্পাদক মোনাব্বেরুল হক মিশেল, টংভাঙ্গা ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক আল আমিন হোসেন সাগর, উত্তরণ ডিগ্রি কলেজের কর্মী মামুনুর রশিদ লিওন খান, মোগলহাট ইউনিয়ন শাখার সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম রানা, যুগ্ম সম্পাদক ইব্রাহীম ইসলাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবিন, লালমনিরহাট পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি শ্রাবণ হোসেন, লালমনিরহাট পৌর শাখার সদস্য ইসমাইল হোসেন, পাটগ্রাম পৌর শাখার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ইবনে রুসদ ও জোংডা ইউনিয়ন শাখার সহ-সভাপতি সহিদ হোসেন।  

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের নীতি, আদর্শ ও শৃঙ্খলাবিরোধী কাজে জড়িত থাকায় তাদের সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয়  ছাত্রলীগের কাছে তাদের প্রত্যেককে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের অনুরোধ করা হয়েছে।

তবে কেন ১৩ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে একসঙ্গে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে, তা ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি।

ছাত্রলীগের একাধিক নেতা দাবি করেন, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির হিরু তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে গত ১৪ আগস্ট রাতে একটি স্ট্যাটাস দেন। যাতে ছিল, ‘আজকে শিবির চেনার দিন! দলের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা মানসিকভাবে জামায়াত-শিবিরদের আজ চিনতে পারবেন!’ এ স্ট্যাটাসে আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাই পক্ষে বিপক্ষে মন্তব্য করেন। শনিবার (১৯ আগস্ট) রাতে রাজধানী ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে এ স্ট্যাটাসকে ঘিরে হিরুকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে বলেও ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন হুমায়ুন কবির হিরু।  

সেখানে তিনি দাবি করেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক লোকজন নিয়ে তাকে মারপিট ও লাঞ্ছিত করেন। যা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সম্পাদককে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।

ঢাকায় ঘটে যাওয়া ঘটনার পরই জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির হিরুসহ ১৩ জন নেতাকর্মীকে সাময়িক বহিষ্কারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।  

জেলা ছাত্রলীগের সম্পাদক আরিফ ইসলাম ও সভাপতি রাশেদ জামান বিলাশকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা রিসিভ করেননি।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২৩
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।