বরিশাল: বরিশাল বিভাগীয় রোডমার্চে যাওয়ার পথে গৌরনদী উপজেলা বিএনপি ও যুবদল নেতাদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২৩ মার্চ) সকালে গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ হামলা চালানো হয়।
হামলায় আহতরা হলেন, জেলা উত্তর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাইয়েদুল আলম খান সেন্টু, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্রসংসদের সাবেক ভিপি কেএম আনোয়ার হোসেন বাদল, পৌর বিএনপির সদস্য কামাল হোসেন, মহিম, যুবদল নেতা আজিজুল ইসলাম, মামুন হোসেনসহ বেশ কয়েকজন।
আহত সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে বরিশাল বিভাগীয় রোডমার্চে যোগ দিতে যাওয়ার পথে একটি গাড়ি বহর ঢাকা-বরিশাল হাইওয়ের গৌরনদী বাসস্টান্ডে পৌঁছালে হামলার ঘটনা ঘটে। যেখানে স্থানীয় অর্ধশতাধিক ছাত্র ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রোডমার্চে অংশ নিতে রওয়ানা দেওয়া বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন।
জেলা উত্তর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাইয়েদুল আলম খান সেন্টু জানান, হামলাকারীদের ভয়ে তাদের রক্ষায় কেউ এগিয়ে আসেনি। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। অপরদিকে উপজেলার মাহিলাড়া বাসস্ট্যান্ডে বিএনপি নেতা আব্দুল মালেক আকন ও ডিএসবি বাজারে বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন হাওলাদারকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন স্থানীয় যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
তবে বিএনপি ও যুবদল নেতাদের ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাদের কোনোন সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবি করেছেন গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এইচএম জয়নাল আবেদীন।
এ বিষয়ে গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন জানিয়েছেন, হামলার ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে রোডমার্চে যোগদানের উদ্দেশ্যে পথিমধ্যে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলায় বরিশাল জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের নির্লিপ্ততাকে দায়ী করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ও স্থানীয় সাবেক সাংসদ জহির উদ্দিন স্বপন।
এক বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, দেশের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন, মতপ্রকাশ, শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনায় বাধাপ্রদানের অপরাধে মার্কিন প্রশাসন যেদিন সরকারি দলের নেতৃত্ব, আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য, বিচার বিভাগসহ দায়িত্বশীলদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, ঠিক তার ১২ ঘণ্টার মাথায় গৌরনদীতে সরকারি দলের সন্ত্রাসীদের এ তাণ্ডবলীলা প্রমাণ করে কী ভয়ংকর বিভীষিকাময় রাজনৈতিক পরিবেশ বিরাজমান রয়েছে এ জনপদে।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের বিরামহীন নির্লিপ্ততায় গৌরনদী ও আগৈলঝাড়ার সমগ্র অঞ্চল আজ বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
তিনি গৌরনদীতে হামলাকারীদের মূলহোতাদের খুঁজে বের অবিলম্বে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩
এমএস/এএটি