ঢাকা, শুক্রবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

আমরা বিদেশিদের দিকে তাকিয়ে নেই: সাকি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩
আমরা বিদেশিদের দিকে তাকিয়ে নেই: সাকি গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি

ঢাকা: গণতান্ত্রিক আন্দোলনে মানুষকে মাঠে নামার আহ্বান জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, আমরা বিদেশিদের দিকে তাকিয়ে নেই৷ আমরা বাংলাদেশের মানুষের দিকে তাকিয়ে আছি। বাংলাদেশের মানুষ বাংলাদেশের আগামী ভবিষ্যৎ তৈরি করবে।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দমন, নিপীড়ন, গ্রেপ্তার ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের প্রতিবাদে এবং অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় অন্তর্বতী সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে পদযাত্রা পূর্ব সামবেশে তিনি এসব কথা বলেন।  

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ সমাবেশের আয়োজন করে ছয়টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত জোট গণতন্ত্র মঞ্চ।

সমাবেশে জোনায়েদ সাকি বলেন, আজকে মানুষকে মাঠে নামতে হবে। বাংলাদেশের কঠিন সময়ে আপনারা যদি বিভ্রান্ত হন, তাহলে আপনারা সময়ের যে দাবি, সেখান থেকে বহুদূরে সরবেন। এ দেশের ধ্বংসের জন্য আপনারাও দায়ী থাকবেন। কাজেই আমরা জনগণকে বলবো, আপনারা রাজপথে নামার প্রস্তুতি নিন। আমরা বিদেশিদের দিকে তাকিয়ে নেই৷ আমরা বাংলাদেশের মানুষের দিকে তাকিয়ে আছি। বাংলাদেশের মানুষ বাংলাদেশের আগামী ভবিষ্যৎ তৈরি করবে।

তিনি আরও বলেন, আগামী ৩০ তারিখ শনিবার যুগপৎ আন্দোলনের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক সংগঠনগুলো যৌথভাবে একটি শ্রমিক কনভেনশনের আয়োজন করেছে। সেটির স্থান নেওয়া হয়েছিল মহানগর নাট্যমঞ্চ। সেটির অনুমতি সিটি করপোরেশন দিয়েছে। কিছুক্ষণ আগে ডিএমপি জানিয়েছে, ওই বায়তুল মোককররমের গেইটে নাকি কৃষক লীগ সমাবেশ ঘোষণা করেছে। কাজেই ওই মহানগর নাট্যমঞ্চে তারা এই কনভেনশন করার অনুমতি দিতে পারবে না। এই হচ্ছে বর্তমান সরকারের অবস্থা।

তিনি আরও বলেন, সরকার নাকি সভা সমাবেশে কোনো বাধা দেয় না, তারা নাকি এই দেশে আইনশৃঙ্খলা, শান্তি খুব বজায় রেখেছে, তারা নাকি একটি সুষ্ঠু ভোট করবে। এসব কাজের পরে সারা দুনিয়ায় তারা যখন মাথা হেইট করে, বাংলাদেশের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আসে, তখন আবার আওয়ামী লীগ আবদার করে, আমরা কেন তাদের পক্ষ নিচ্ছি না, দেশের পক্ষ নিচ্ছি না। আমেরিকা কিংবা অন্যরা বাংলাদেশকে নানাভাবে চাপ দিয়ে তাদের স্বার্থ রক্ষা করতে যাচ্ছে।

গণতন্ত্র মঞ্চের এ নেতা বলেন, দেশের মানুষের ভোটের অধিকার, সভা-সমাবেশের অধিকার কেড়ে নিয়ে এখন যখন বিশ্বের কাছে মাথা হেইট করেছেন, তখন এসে বলেন সবাই মিলে সরকারকে সমর্থন করতে। আপনাদের এসব ভণ্ডামি দেশের মানুষ পরিষ্কার করে দিয়েছে। আপনাদের এসব ভণ্ডামি মানুষ আর গ্রহণ করবে না।

তিনি আরও বলেন, ক্ষমতায় টিকে আছেন কিভাবে আমরা সবাই জানি। বিচারপতি সামসুদ্দিন মানিক একটি লক্ষণ মাত্র। দেশের রাষ্ট্র প্রশাসনে এমন সামসুদ্দিন মানিক দিয়ে ভরে তারা (সরকার) আজকে দেশ চালাচ্ছে। এটিকে জমিদারি হিসেবে তৈরি করেছে। দেশের সবগুলো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে তারা (সরকার) সামসুদ্দিন মানিকদের তৈরি করে সমস্ত কিছু দখলে রেখে তারা দেশকে জাহান্নামে ঠেলে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের গভর্নর ডি গ্রেড পেয়েছেন। এ চতুর্থ শ্রেণিরই যোগ্যতা এদের। এরা চতুর্থ শ্রেণির লোক, কিন্তু লুটপাটে একেবারে এ প্লাস, দালালিতে এ প্লাস, দেশ বিক্রিতে এ প্লাস। কাজেই এ দালাল, লুটপাটকারী, দেশ বিক্রিকারী যারা আজকে রাষ্ট্র প্রশাসনে বসে সরকারের ভোট ডাকাতি, তাদের আরেকটি নীল নকশার নির্বাচনকে জায়েজ করতে চান, সফল করতে চান, তাদের সমস্ত ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিতে হবে। এ জন্য আমাদের দরকার গণজাগরণ দ্বারা অভ্যূত্থান।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনের সঞ্চালণায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম।

সমাবেশ শেষে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাকর্মীরা পদযাত্রা করেন। পদযাত্রাটি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩
এসসি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।