ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ায় অনেকের মনে কষ্ট হচ্ছে, যে কারণে দেশকে পিছিয়ে দিতে অনেকেই সাম্রাজ্যবাদী শক্তির দিকে তাকিয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এটি অনেকের মনে কষ্ট।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ডিআরইউতে রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতির, ঢাকা এর বার্ষিক সাধারণ সভার প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের মানুষের চোখ খুলে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ হিমালয়সম উচ্চতায় চলে গিয়েছিল। ৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর দেশ অন্ধকার তলিয়ে যায়। সে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে এসেছেন আলোর পথের দিশারী দেশরত্ন শেখ হাসিনা।
আলোকিত বাংলাদেশের গড়ার ক্ষেত্রে রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতি, ঢাকা আরও বেশি কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে আশাব্যক্ত করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, রংপুর বিভাগ ছিল না। এটি দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। বিভাগ হয়নি। রংপুর বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেছেন প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। তার জন্য রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতি, ঢাকার পক্ষ থেকে তাকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। রংপুর বিভাগ হওয়ায়; রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতি পরিচয় দিতে পারছি এটি আমাদের গর্বের। রংপুর বিভাগের উন্নয়নের জন্য যা যা দরকার সেটি প্রধানমন্ত্রী করবেন। আগে জেলাভিত্তিক সংগঠন ছিল। অনেক কিছু বাস্তবায়ন হয়েছে। বিভাগ প্রতিষ্ঠার ফলে ভ্রাতৃত্ববোধ সৌহার্দ্য বেড়েছ। একই প্লাটফর্মে এসেছে। অনেক বড় প্রাপ্তি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতিহাস ঐতিহ্য কোনো কিছুতে রংপুর বিভাগ পিছিয়ে নেই। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ আছেন। রংপুর বিভাগ কিছুটা পিছিয়ে ছিল, এখন হাইস্পিড গতিতে এগিয়ে চলছে। ৯ বছর আগে যেখানে প্রতিদিন সৈয়দপুরে দুই থেকে তিনটি বিমান চলাচল করতো। এখন সেখানে প্রতিদিন ১৯টি বিমান চলাচল করে। আগে রংপুরের মানুষকে মফিজ বলে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতো। এখন সেই অবস্থা নেই। এখন রংপুরের মানুষ সব থেকে বেশি বিমানে যাতায়াত করে। রংপুরের ঘাঘট নদী উন্নয়নে ২৫০০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবেন। প্রধানমন্ত্রী যেটি ঘোষণা করেন সেটি তিনি বাস্তবায়ন করে থাকেন। যেমনটি তিনি পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে সিরিয়াস ছিলেন তেমনি তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছেন উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ বলেন, তিনি একজন দক্ষ কূটনীতিক। তার দক্ষ কূটনৈতিকতার ফলে তিনবিঘা করিডোর, ছিটমহল সমস্যার সমাধান, গঙ্গার পানি চুক্তি নবায়ন, বঙ্গোপসাগরে আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। বাংলাদেশ যত বড়, তার চেয়ে বড়, আমাদের মেরিটাইম সেক্টর।
তিনি বলেন, উত্তরাঞ্চল দেশের পানি প্রবাহের ক্ষেত্রে মূল রিপ্রেজেন্ট এর ভূমিকা পালন করে থাকে। উত্তরবঙ্গের নদীগুলো দিয়ে ৭২ ভাগ পানি প্রবেশ করে। চিলমারী নদী বন্দরের উন্নয়ন করা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে রেল ও সড়কপথের উন্নয়ন করা হচ্ছে। রংপুর বিভাগে মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরা গণমাধ্যমের দায়িত্ব। আশা করি রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতি, ঢাকার সদস্যরা এসব উন্নয়নমূলক তথ্য গণমাধ্যমে তুলে ধরবেন।
রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেনের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য উন্মে কুলসুম স্মৃতি, সংগঠনের সিনিয়র সদস্য শামসুল হক দুররানী, সংগঠনের সিনিয়র সদস্য আনন্দ আলোর সম্পাদক রেজানুর রহমান, সদস্য মশিউর রহমান, সংগঠনের সাবেক আহ্বায়ক ও নর্থ বেঙ্গল ফোরামের সভাপতি নজমুল হক সরকার ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইমরুল কায়সার ইমন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩
ইএসএস/জেএইচ