ঢাকা, বুধবার, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ০৩ জুলাই ২০২৪, ২৫ জিলহজ ১৪৪৫

রাজনীতি

আমাদের নেতাকর্মীরা আজকে যেকোনো কিছুর জন্য প্রস্তুত: খসরু

ইফফাত শরীফ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২৩
আমাদের নেতাকর্মীরা আজকে যেকোনো কিছুর জন্য প্রস্তুত: খসরু

মাদারিপুর থেকে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার জীবনে দুইটা ভালো কাজ করেছে উল্লেখ করে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে ধ্বংস করে দিয়েছে। আর বিএনপিকে একটা পরিণত, শক্তিশালী, উজ্জীবিত রাজনৈতিক দলে পরিণত করেছে।

আমাদের নেতাকর্মীরা আজকে যেকোনো কিছুর জন্য প্রস্তুত আছে। এটাই হচ্ছে একটা রাজনৈতিক দলের বৈশিষ্ট্য। যেকোনো অপশক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সেই শক্তিকে পরাজিত করার যে ভিত্তি থাকতে পারে সেটাই হচ্ছে একটা পরিণত দলের উদাহরণ। সেই উদাহরণ বিএনপি আজকে দেখিয়েছে। ইনশাল্লাহ আমরা আগামী দিনে জয়ী হব। '

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টায় বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় রোডমার্চের মাদারীপুরের মোস্তফাপুরের পথ সভা শেষে তিনি একথা বলেন। এর মধ্য দিয়ে ফরিদপুর বিভাগীয় রোডমার্চ শেষ হয়।

এসময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আমীর খসরু বলেন, 'নিজেদের মধ্যে ছোটখাটো যদি কোনো বিভেদ থেকে সেগুলো ভুলে যেতে হবে। কারণ এটা বাঁচার সংগ্রাম। এসব ছোটখাটো বিভেদ একটা দলে থাকে। প্রতিযোগিতাও থাকে এবং ভুল বোঝাবুঝিও থাকে। কিন্তু আমাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, হাতে হাত মিলিয়ে এই সংগ্রামের জয়ী হতে হবে। '

খালেদা জিয়াকে নিয়ে যে বক্তব্য রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সমালোচনা করে আমীর খসরু বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, খালেদা জিয়ার ৮০ বছর হয়ে গেছে। উনি তো এখন মৃত্যু পথযাত্রী। প্রত্যেকদিন শুনি উনি মারা যায়। কই উনি তো মারা যান না। এটা নিয়ে মারামারি কাটাকাটি কেন করতে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে সাংবাদিকরা আমাকে বলছে এর উত্তর কি আপনি দেবেন না? আমি বলেছি, এর উত্তর আমি দেব না। কারণ বিএনপি ভদ্রলোকের দল। এ কথার যদি উত্তর দিতে হয় তাহলে আমাকে যে জায়গায় নামতে হবে, আমি সে জায়গায় নামতে রাজি নই। তবে বাংলাদেশের মানুষ এর উত্তর ঠিকই দেবে। '

তিনি বলেন, 'ভীসানীতির আওতায় কাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, গণমাধ্যমকে! অর্থাৎ ভীসানীতির আওতায় সাংবাদিকদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এতে তারা মনে কষ্ট পেয়েছে, তারা বলছে আমরা তো গণমাধ্যম আমাদের ওপর কেন? আরে যে গণমাধ্যম বাংলাদেশের মানুষের ভোট চুরির সহায়তা করে, তার সঙ্গে আওয়ামী ভোট চোরদের কোনো ব্যবধান আছে? তাহলে তো তাদের ওপর ভীসানীতি দিতে হবে। ভীসানীতি বিচারকদের ওপর আসতে পারে, লুটেরা ব্যবসায়ীদের ওপর আসতে পারে, সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর আসতে পারে। তাহলে যে সমস্ত সাংবাদিক বা গণমাধ্যম ভোট চুরির প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত থাকে তাদের ওপর আসবে না! এখানে কেউ বাদ যাবে না। '

প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ২০ ঘণ্টা পাড়ি দিয়ে আমেরিকা যাবেন না। কিন্তু গেছেন জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে। একদিন ভাষণ দেবেন, সব দেশের প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দিয়ে চলে গেছেন। কিন্তু তিনি এখনও আছেন, কেন? কোনো কিছুতেই কাজ হয়নি। হাত ধরে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে।

পথ সভাটিতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য জয়নুল আবেদীন ফারুক।  

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য জহুরুল হক শাহাজাদা মিয়া, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, যুবদল নেতা সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা এস এম জিলানী, রাজিব আহসান, ছাত্রদল নেতা রাশেদ ইকবাল খান, সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২৩
ইএসএস/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।